সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরতি না নিয়ে ফেরাল গুজরাটের হাসপাতাল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল বাঙালি অধ্যাপিকার। এমনই অভিযোগ উঠেছে। মৃত অধ্যাপিকার নাম ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় (Professor Indrani Banerjee)। গুজরাট সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Gujarat Central University) স্নায়ুবিজ্ঞান বিভাগের ডিন ছিলেন ইন্দ্রাণী দেবী। বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও পড়াতেন তিনি।
অভিযোগ, শুক্রবার ইন্দ্রাণী দেবীর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ নেমে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে গুজরাটের (Gujarat) সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তখন সেই হাসপাতালে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ক্ষমতার তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মীদের অনুরোধ করেন তাঁকে অন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কথামতো গান্ধীনগরেরই আরেকটি বেসরকারি হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অধ্যাপিকাকে। কিন্তু সেখানে বাইপ্যাপ অক্সিজেন কনসেনটেটর এবং ভেন্টিলেটর ছিল না। যা কিনা ইন্দ্রাণী দেবীর অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।
[আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়া বিচারপতিকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিল যোগী সরকার]
এই কারণেই শনিবার ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাইভেট গাড়িতে করে আহমেদাবাদ মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (AMC) কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ইএমআরআই-১০৮ (EMRI 108) অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে ইন্দ্রাণী দেবীকে ভরতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ইন্দ্রাণী দেবীর সহকর্মী ও পড়ুয়ারা জানান, বাধ্য হয়ে অধ্যাপিকাকে গান্ধীনগরের হাসপাতালেই ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে অক্সিজেন লেভেল ৬০ শতাংশে নেমে যায়। রবিবার ভোররাত দু’টো নাগাদ বাইপ্যাপ অক্সিজেন মেশিনের ব্যবস্থা করে হাসপাতাল। অভিযোগ, ততক্ষণে অধ্যাপিকার শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার-এর পোস্ট ডক্টরাল ফেলো। রবিবারই অধ্যাপিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। তবে হাসপাতালের অব্যবস্থায় বেজায় ক্ষুব্ধ ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পড়ুয়া ও সহকর্মীরা।