সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিভাইস এক। কাজ ছ’টি। ঘরের কোণে থাকা ছোট্ট মেশিন থেকে নির্গত বায়ো অক্সিজেন প্লাজমা ১০০ বর্গফুটের ঘরে কোভিড-সহ অন্যান্য ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া নষ্ঠ করে দেয়। বদ্ধ ঘরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কার্বন-ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন-ডাই-অক্সাইড, সালফার-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। শিল্প-সহ অন্যান্য দূষণ কমিয়ে দেয় তুড়ি মেরে। বাতাসে থাকা ধুলিকণা ভেঙে নিচে ফেলে দিয়ে রক্ষা করে ফুসফুস। দুর্গন্ধ ও ধোঁয়া দূর করে নিমেষে। এতগুলি কাজ করতে খরচ হয় ঘরে থাকা পাখার থেকেও কম বিদ্যুৎ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিজ্ঞানী শক্তিব্রত দাশগুপ্তের এই আবিষ্কার ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। প্রশংসা এসেছে বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকেও। ইতালি-সহ গোটা ইউরোপে ইতিমধ্যেই সরবরাহ হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ মেশিন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পাশাপাশি মেক ইন ইন্ডিয়া আবিষ্কারের স্বীকৃতি ও অনুদানের লক্ষ্যে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরকেও। পুরনো ও নবনির্মিত সংসদ ভবনে এই যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে লোকসভার স্পিকার ও রাজ্যসভা চেয়ারম্যানকেও।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন? হতে পারে মারাত্মক বিপদ! জেনে নিন বিশেষজ্ঞর মত]
দু’ ধরনের যন্ত্র আবিস্কার করেছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। একটি ব্যবহার হয় হাসপাতালের আইসিইউ-সহ অন্যান্য জায়গায়। বিভিন্ন রোগীর শরীরে থাকা সংক্রমণ বাতাসে
মিশে সংক্রমিত করে অন্যান্যদেরও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যাকে ‘আনসলভড মেডিকেল মিস্ট্রি’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। এটি প্রতিহত করার যন্ত্রের দাম প্রায় এক লক্ষ টাকা। অন্যটি ব্যবহার করা যায় বাড়িতে। যার দাম হাজার ত্রিশেক। সরকারি সাহায্য পেলে অনেক বেশি মাত্রায় এই যন্ত্র তৈরি করা যাবে, ফলে কমবে খরচ। এমনটাই বক্তব্য আবিস্কারকের।
[আরও পড়ুন: ‘অনোমাটোম্যানিয়া’য় আক্রান্ত নাসিরুদ্দিন শাহ! জানেন কী এই বিরল রোগ?]