shono
Advertisement

Breaking News

ন্যাজাল ভ্যাকসিনই হতে পারে বুস্টার ডোজ, ভারত বায়োটেককে চূড়ান্ত ট্রায়ালের ছাড়পত্র কেন্দ্রর

মার্চ থেকেই বুস্টার ডোজ শুরু করার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র।
Posted: 12:54 PM Jan 05, 2022Updated: 01:08 PM Jan 05, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) তৈরি intranasal vaccine বা নাক দিয়ে নেওয়ার উপযুক্ত টিকাকে করোনা টিকার (COVID vaccine) বুস্টার ডোজ হিসেবে ছাড়পত্র দিতে পারে ডিজিসিআই। বুধবার কেন্দ্রীয় সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে টিকার তৃতীয় দফার ট্রায়ালে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ৫ হাজার সুস্থ ব্যক্তির উপরে ট্রায়াল চালানো হবে। এদের মধ্যে অর্ধেক কোভ্যাক্সিন ও অর্ধেক কোভিশিল্ড টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণ করেছেন। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারত বায়োটেকের তরফে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চাওয়া হয়। ভারত বায়োটেক কেন্দ্রকে জানিয়েছিল, যাঁদের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে তাঁদের ন্যাজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) হিসেবে দেওয়া হলে ভাল ফল মিলতে পারে।

[আরও পড়ুন: মুন্ডা সম্প্রদায়ের ‘পবিত্র গাছ’ কাটার অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনিতে মৃত্যু ব্যক্তির]

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই ডিজিসিআই একটি বৈঠক করেছিল এই বিষয়ে। সেখানেই বিশদে আলোচনা হয়েছে. এরপরই বুধবার ট্রায়ালের অনুমতি দেওযা হল। মনে করা হচ্ছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পরই এই বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়া যাবে। সম্ভবত মার্চ থেকেই বুস্টার ডোজ শুরু করার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র। তবে তা নির্ভর করছে সময়মতো বুস্টার ডোজকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে কিনা তার উপরে।

এদিকে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নতুন বছরের শুরু থেকেই ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে দেশে। সোমবার থেকেই কমবয়সিরা কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) টিকা পাচ্ছে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ১৪৬ কোটি ৭০ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৬৪। কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা, তা সহজে বুঝতে RT-PCR কিট ‘ওমিশিওর’কে সদ্যই ছাড়পত্র দিয়েছে ICMR। সব মিলিয়ে দেশে লাফিয়ে বাড়তে থাকা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া কেন্দ্র।

[আরও পড়ুন; কমতে পারে নিভৃতবাসের সময়, নতুন কোভিড প্রোটোকল জারি করবে ICMR]

মঙ্গলবারের পর বুধবারও লাফিয়ে বাড়ল দেশের করোনা সংক্রমণ। গতকালের পরিসংখ্যানে যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজারের কিছু বেশি, আজ তা বেড়ে ছাড়াল ৫৮ হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ মাত্র ২৪ ঘণ্টায় দেড়গুণেরও (৫৫%) বেশি বাড়ল সংক্রমণ। একলাফে অনেকখানি বেড়েছে মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাও। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement