নন্দন দত্ত, বীরভূম: গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে আরও একটি নাম। তিনি বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। কে তিনি? পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) -কুন্তল ঘোষদের সঙ্গে কী যোগ তাঁর? সত্যিই কী দুর্নীতিতে যুক্ত নলহাটির বিভাস?
জানা গিয়েছে, বরাবরই বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বিভাস অধিকারী। স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। তাঁর দুটি পরিচয়। প্রথমত, অত্যন্ত ধার্মিক হিসেবেই এলাকায় পরিচিত বিভাস। নিজের হাতে তৈরি আশ্রম রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয়। নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তিনি। যদিও বিভাসের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন তিনি। যদিও দলের তরফে দাবি করা হয়েছে অন্য। তবে শুধু যে ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে বিভাস মেতে থাকতেন তেমনটা নয়। আশ্রমের পাশাপাশি একটি বিএড কলেজ তৈরি করেছিলেন তিনি। বহু পড়ুয়া প্রচুর অর্থের বিনিময়ে সেখানে ভরতি হতেন। কারণ হিসেবে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ওই কলেজ থেকে পাশ করতে চাকরি নাকি নিশ্চিত ছিল। সেই কারণ রাতারাতি বাড়ছিল পড়ুয়ার সংখ্যা।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের অভিযোগে সিলমোহর, ভোটে একসঙ্গে ঘোরাফেরা সাগরদিঘির কংগ্রেস-বিজেপি প্রার্থীর]
শোনা যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল বিভাস অধিকারীর। শুধু তিনি নন, একাধিক দাপুটে নেতার আনাগোনা ছিল বিভাসের কলেজে। মাস চারেক আগে সিউড়ির হরিপুরের কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার খোলার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন বিভাস। মোটের উপর অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। স্থানীয়দের কথায়, ধর্মকে হাতিয়ার করেই দুর্নীতি চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বিভাস। তাঁর কথায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সূত্র ধরেই কুন্তলকে চিনতেন। তবে দুর্নীতিতে তাঁর কোনও যোগ নেই। দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে জেলে যাওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বিভাসের একটি ফ্ল্যাট সিল করেছে ইডি।