সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব-ইহুদি লড়াইয়ের মাঝেই ইজরায়েলের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করল আমেরিকা। এমনটাই খবর রয়টার্স সূত্রে। মুখে সংঘাত থামানোর কথা বললেও বাইডেন প্রশাসনের এহেন পদক্ষেপে তুঙ্গে বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: কোভিড টিকায় কোনও নির্দিষ্ট দেশের অধিকার থাকবে না, ভারতের প্রস্তাবে সাড়া চিনেরও]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইজরায়েলকে প্রায় ৭৩৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র দিতে রাজি হয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কংগ্রেসের এক সদস্য জানিয়েছেন, ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা তুমুল লড়াইয়ের কোনও প্রভাব এই অস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়ায় পড়বে না। ইহুদি দেশটিকে যে অস্ত্র সম্ভার আমেরিকা দেবে তার মধ্যে রয়েছে বোয়িংয়ের তৈরি Joint Direct Attack Munitions বা JDAM বোমা। এই অত্যাধুনিক গাইডেড বোমাগুলি বিমান থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এদের কাজ হচ্ছে বিশাল বিল্ডিংয়ের ছাদ ভেধ করে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে থাকা শত্রুদের ঘাঁটি উড়য়ে দেওয়া। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, গাজায় জঙ্গি সংগঠন হামাস ও ইসলামিক স্টেটের জমির নিচে থাকা বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিতে এই বোমাগুলিই ব্যবহার করছে ইজরায়েল। এদিকে, আমেরিকার এই পদক্ষেপে সংঘাত আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, আমেরিকাকে পালটা দিতে হামাসকে হাতিয়ারের জোগান দেবে ইরান ও রাশিয়া বলেই মনে করছেন তাঁরা। ফলে প্যালেস্তাইন-ইজরায়েলের লড়াই মহাশক্তিধর সংঘাতে পরিণত হতে পারে।
উল্লেখ্য, জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের (Israel) লড়াই কিছুতেই থামছে না। আন্তর্জাতিক মঞ্চের উদ্বেগ বাড়িয়ে গাজায় লাগাতার বিমান হানা চালিয়ে যাচ্ছে ‘ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস’। পালটা তেল আভিভ, আশকেলন-সহ ইজরায়েলের একাধিক শহরে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস ও ইসলামিক জেহাদ। সব মিলিয়ে এপর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন। নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন ইজরায়েলি নাগরিক। এহেন পরিস্থিতিতে এবার জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক জেহাদের শীর্ষনেতাকে খতম করেছে ইজরায়েল।