সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানের (Afghanistan) টাকায় টুইন টাওয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার এই মর্মে একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পোল্যান্ডে নামলেন আফগান-মুলুক থেকে আসা শেষ মার্কিন সেনা]
গতবছরের আগস্ট মাসে আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে ফেলে মার্কিন ফৌজ। তারপরই কাবুল দখল করে তালিবান। প্রায় দুই দশকের লড়াই সেশে এহেন বিপর্যয়ের মুখে পড়াউ রীতিমতো সমালোচিত হতে হয় বাইডেনকে। কাবুলে আশরফ ঘানি সরকারের পতনের পর তালিবানকে চাপে রাখতে আফগান সেন্ট্রাল ব্যাংকের টাকা ফ্রিজ করে দেয় আমেরিকা। এই মুহূর্তে আমেরিকার হাতে রয়েছে প্রায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের আফগান টাকা। সেই টাকার অর্ধেক অর্থাৎ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩৫০ কোটি ডলার খরচ করা হবে টুইন টাওয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য। ভয়াবহ ওই হামলা ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিভিন্ন আদালতে মামলা লড়ছেন। আফগান সেন্ট্রাল ব্যাংকের টাকা থেকে তাঁদের খরচ জোগান দেওয়া হতে পারে বলে খবর। বাকিটা আফগান জনতার মদত ও উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে সেই টাকা যাতে তালিবানের হাতে না যায় তা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, তালিবানের উপর চাপ বাড়িয়ে গতবছর কাবুলকে দেওয়া আর্থিক মদত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করে বিশ্ব ব্যাংক। তার আগে আফগানিস্তানকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (IMF)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সরকার আমেরিকার সেন্ট্রাল ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ এবং অন্যান্য মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখা আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, দ্য আফগান ব্যাংকের প্রায় ৭০০ কোটি ডলার ‘ফ্রিজ’ করে দেয়, যাতে ওই অর্থ তালিবান তুলে নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। কিন্তু গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিকে ফের গড়ে তুলতে প্রচুর আর্থিক অনুদান দেওয়া শুরু করে ভারত, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। যদিও আখেরে লাভ কিছুই হয়নি। আমেরিকার প্রস্থানে আবারও সংকটে আফগানভূম।