অসিত রজক, বিষ্ণুপুর: পুরনো এক মামলায় বার বার তলব এড়িয়ে বিপাকে পড়লেন সৌমিত্র খাঁ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালত। ৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিষ্ণুপুরের সাংসদ হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে পুরনো একটি মামলা চলছিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। সেই মামলাটি জানুয়ারিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে। তার পরও তলব এড়ানোয় এই পদক্ষেপ।
মামলাটি এক বছরের পুরনো। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল সোনামুখী (Sonamukhi) থানার মানিকবাজার এলাকায় বিজেপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ'র (Sooumitra Khan) নেতৃত্বে সেই কর্মসূচিতে সোনামুখী থানার তৎকালীন আইসি-র উদ্দেশে কুৎসিত গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। আইসি (IC)সৌরদীপ্ত ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, সৌমিত্র খাঁ তাঁর বাবা-মায়ের নাম নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছেন। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনই পুলিশ সোনামুখী থানার পালটা স্বত:প্রণোদিত মামলা দায়ের করেন সৌমিত্র খাঁ। সেই মামলায় বার বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। আর সেই কারণে সাংসদকে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হল। বিজেপি সাংসদের (BJP MP) বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ৩২৩, ১৮৯, ৩৩২, ৩৫৩, ৩৫৪এ, ১০৫, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: সেনসেক্সের ঝোড়ো ইনিংস অব্যাহত, নজির গড়ে ৭৮ হাজারের গণ্ডি পেরল সূচক]
এই মুহূর্তে সৌমিত্র খাঁ রয়েছেন দিল্লিতে (New Delhi), সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য। কড়া আইনি পদক্ষেপের কথা পৌঁছেছে তাঁর কানে। এবারও তিনি বিষ্ণুপুর থেকে জয়ী হয়েছেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে সৌমিত্রর প্রতিক্রিয়া, ''আমি ঠিক জানি না। দিল্লি থেকে ফিরে এ বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব। তবে বাংলায় যাঁরা তৃণমূল করেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। আবার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর ভাষা বললেও দলের লোক হলে ছাড় দেওয়া হয়। আমরা আইনের পথে চলি, আইন মেনে যা করার করব।''