সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সার্টিফিকেট চাই? পড়াশোনা করার প্রয়োজন নেই, ট্যাঁকে টাকা থাকলেই হবে৷ মাত্র ২০ লক্ষ টাকা খরচ করলেই মিলবে নম্বরে ভরা সার্টিফিকেট৷ এমনটাই চলছিল এতদিন বিহারে৷ দুর্নীতির এই মহাকাব্যের কথা বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন স্বয়ং লালকেশ্বর প্রসাদ৷ বিহার এগজামিনেশন বোর্ডের সদ্য প্রাক্তন হওয়া চেয়ারম্যান৷
এমনকী জানা গিয়েছে, চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন প্রায় ১০০টি ইন্টারমিডিয়েট কলেজকে অনুমোদন দিয়েছেন প্রসাদ৷ প্রত্যেকটি অনুমোদনের জন্য ৪ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন তিনি৷ সোমবারই দুর্নীতির অভিযোগে লালকেশ্বর প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী ঊষা সিনহাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ পাটনা জেলা আদালত দু’জনকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে৷
বিহার শিক্ষাব্যবস্থার হাটে হাঁড়িটি ভাঙে বিহারের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল বেরোনোর পর৷ যখন এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম পরীক্ষার শীর্ষ স্থানাধিকারীদের সাক্ষাৎকার নিতে যায়৷ রুবি রায় নামে এক ছাত্রী বলে বসেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান নাকি হেঁশেলের পাঠ৷ আরেক ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া জল ও H2O-র মধ্যে সম্পর্কই বলতে পারেনি৷ এরপরই নড়েচড়ে বসে বিহার প্রশাসন৷ তদন্তে বেরিয়ে আসে বিহারের শিক্ষা ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা৷