শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মরদেহের সঙ্গে বাস জ্যান্ত মানবের! শ্মশানে এক মহিলার মৃতদেহের পাশে হঠাৎ নড়ে উঠল এক পুরুষ ও মহিলা। রবিবার সকালে অভাবিত দৃশ্যে তাজ্জব গোটা গ্রাম। খবর চাউর হতেই শ্মশানে উপচে পড়ে ভিড়। তড়িঘড়ি পৌঁছয় পুলিশ। শেষপর্যন্ত মৃতদেহের পাশ থেকে দুই জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের বিহার-ঘেঁষা গোয়ালপোখরের (১) ধরমপুরের।
জানা যায়, বাংলা-বিহার সীমান্তের ধরমপুর শ্মশানের মেঝেতে এক মহিলার পচাগলা দেহের সঙ্গে দেখা যায় জীবিত দুই অসুস্থ ব্যক্তিকে। গোয়ালপোখর থানার আইসি টি এন ভুটিয়া জানান, শনিবার রাতে বিহারের কিষানগঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক মহিলার মৃত্যু হয়। কুষ্ঠ রোগাক্রান্ত হয়ে বছর পঞ্চাশের মৃত ওই মহিলার সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যহীন জীবিত এক মহিলা ও পুরুষকে বিহারের হাসপাতাল থেকে রাতে ওই শ্মশানে কেউ ফেলে রেখে যায়। শ্মশানে মৃত ওই মহিলার সৎকারের সময় বিষয়টি সকলের নজরে আসে। এখন জীবিত দুই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।
[আরও পড়ুন: ‘১৩ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম শপথ’, পুরনো কথা স্মরণ মমতার]
জীবিতদের শ্মশান থেকে কোনওক্রমে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জীবিতদের একজন বছর পঁয়ত্রিশের মহম্মদ নাকিম। বিহারের কিষানগঞ্জ জেলার কোচাধমন থানার বাসিন্দা তিনি। তবে জীবিত মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। যদিও কিষানগঞ্জ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মানসিক রোগাক্রান্ত দুই ব্যক্তিকে দীর্ঘদিন ধরে কিষানগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে।
ধরমপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নুর আলম বলেন,"মারাত্মক ব্যাপার। একজন মৃত মহিলার সঙ্গে দুইজন জীবন্ত মানুষকে শ্মশানে ফেলে রাখার মূল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হোক।" ইসলামপুর পুলিশ সুপার জবি থমাস বলেন, ‘‘বিহার পুলিশ ও কিষানগঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।’’