সংগ্রাম সিংহ রায়, শিলিগুড়ি: বিমল গুরুং শিলিগুড়িতে সভা করবেন, সে ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এবার সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঘোষণা করলেন রোশন গিরি (Roshan Giri)। জানালেন ৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে সভা করতে পারেন গুরুং। বাঘাযতীন পার্কে অনুমতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বেশি জমায়েত হলে বড় কোনও বিকল্প জায়গা দেখা হতে পারে বলেও জানান তিনি। সাড়ে তিন বছর পর শনিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে পা রেখে এমনটাই জানালেন রোশন গিরি।
এদিন কার্শিয়াং যাওয়ার পথে রোশন গিরি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের সঙ্গে রয়েছি। তার অর্থ পাহাড়ের জনতা রাজ্য সরকারের সঙ্গে রয়েছে। বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের সঙ্গে তাঁদের কিছু বাছাই করা লোক ছাড়া জনসমর্থন নেই। বিনয়, অনিতরা পাহাড়ে কয়েক বছর দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের রাজনীতি করেছেন।” রোশন গিরিকে পালটা জবাব দিয়েছেন মোর্চা সহ-সভাপতি তথা জিটিএ বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিত থাপা। তিনি জানিয়ে দেন, রোশন গিরি কিংবা বিমল গুরুং যে পাহাড়ে আসুক না কেন, তাঁদের আপত্তি নেই। তবে তাঁদের সমর্থকরা যদি বদলা নেওয়ার চেষ্টা করে তবে তার জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “বিমল-রোশন পাহাড়ে আন্দোলনের সময় মাঝপথে সমর্থকদের ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তখন যদি এমন ভাবনা ভাবতেন তবে পাহাড়ের এত ক্ষতি হত না।” তিনি এবং বিনয় তামাং পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন। এই শান্তি তারা ভঙ্গ হতে দেবেন না। প্রয়োজনে কড়া ভাবে তা দমন করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন।
[আরও পড়ুন: ফের নিম্নমুখী রাজ্যের করোনা গ্রাফ, হু হু করে বাড়ছে সুস্থতার হার]
প্রায় তিন বছর পর অজ্ঞাতবাস ছেড়ে পুজোর সময়ে প্রকাশ্যে এসেছেন UAPA ধারায় অভিযুক্ত বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের পাশে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রোশন গিরিও। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কলকাতায় দেখা করেছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। আর তাঁদের মাধ্যমেই পাহাড়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন গুরুং। তবে এবার গুরুং পরবর্তী পাহাড় পরিস্থিতি বুঝতে সরাসরি রোশন গিরি পা রাখলেন উত্তরে। এই মুহূর্তে সেখানে গুরুং ফিরলে, কতটা সমর্থন পাবেন, রবিবার কার্শিয়াংয়ের সভা থেকে সেই আঁচ পেতে চাইছেন রোশন গিরি।