তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পাহাড়ে ফের গোর্খাল্যান্ড ইস্যু উসকে দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। ২০২১-এ তাঁর দল তৃণমূলকে সমর্থন করলেও আগামী লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রাখছেন বিমল। তাঁর বক্তব্য, পাহাড় সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান যে দল করবে তাদেরকেই সমর্থন করবে মোর্চা।
গুরুংয়ের দাবি, পৃথক গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) ইস্যুতে ডিসেম্বরে বৈঠক হবে দিল্লিতে। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গোর্খাল্যান্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে পৃথক। সেখানেই বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হবে। শুক্রবার রাতে শিলিগুড়িতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন মোর্চা (GJM) সুপ্রিমো বিমল গুরুং। তিনি বলেন, “আমাদের দাবি মেনে যে দল পাহাড় সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবে ২০২৪-এর নির্বাচনে তাকেই সমর্থন করবো।” পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসম থেকে জয়গাঁ হয়ে এদিন রাতে শিলিগুড়িতে পৌছান বিমল গুরুং। এরপরেই তাকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে পাহাড় সমস্যা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘জানতাম আমায় খুনের ছক হয়েছে’, জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিস্ফোরক ইমরান]
প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল মোর্চা। তবে রাজ্যের তরফে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ মোর্চা নেতৃত্বের। সেক্ষেত্রে এবার আগামী নির্বাচনে কোন পথে হাটবে বিমলের মোর্চা সেদিকে নজর সব রাজনৈতিক দলের। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করলেও রাজনৈতিকভাবে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেননি গুরুং। বিধানসভা ভোটের পর থেকে পাহাড়ে ক্রমশ কমছে গুরুং এবং মোর্চার জনসমর্থন।
[আরও পড়ুন: গুলি বের করতে একাধিক অস্ত্রোপচার, কেমন আছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান?]
২০১৭ সালের পর দীর্ঘদিন পাহাড়ে ছিলেন না গুরুং। পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিও এখন অনেকটা স্তিমিত। গুরুং প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে সেই পৃথক রাজ্যের দাবিকেই নতুন করে তুলে ধরতে চাইছেন। সদ্য শেষ হওয়া জিটিএ নির্বাচনের আগেও পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে ভোট বয়কটের দাবি তোলেন গুরুং। এমনকী অনশনেও বসে পড়েন তিনি। কিন্তু তাতে খুব একটা সাড়া মেলেনি। এখন দেখার লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে পৃথক রাজ্যের দাবি গুরুংয়ের পালে হাওয়া তোলে কিনা।
নাম না করলেও গুরুংয়ের এই দাবিকে পরোক্ষে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস চায় পাহাড় হিংসার জায়গায় যাতে না যায়। কাউকে কাউকে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। নিজেদের অস্তিত্বের জন্য অনেকে নানা মন্তব্য করেন। বিজেপির উসকানি, তাদের প্ররোচনা দিচ্ছে। মানুষ শান্তি চায়। আমরা অর্থনীতি সচল রাখতে চাই। এরা মিটিং মিছিল করে পাহাড় অচল করতে চায়৷”