সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে আলো ছড়ানো জোনাকির কথা তো শুনেছেন। দেখেওছেন অনেকে। কখনও রাতের অন্ধকারে আলো ছড়ানো মাশরুমের কথা শুনেছেন? শুনে থাকলে সত্যি শুনেছেন। আমাদের দেশেই এই নতুন প্রজাতির মাশরুমের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
গোয়ার পানাজি থেকে আরও কিছুটা দূরে অবস্থিত মহাদেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ (Mhadei Wildlife Sanctuary) এলাকা। সেখানেই দেখা গিয়েছে এই নতুন প্রজাতির মাশরুম। নাম দেওয়া হয়েছে বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুম (Bio-luminescent mushrooms)। পাহাড়ের উপর ফোটা মাশরুমগুলি দিনের বেলায় আর পাঁচটা সাধারণ মাশরুমের মতোই দেখতে। কিন্তু রাত হলেই তা থেকে আলো নির্গত হয়। নীলচে সবুজ অথবা বেগুনি রঙের আলো দেখতে পাওয়া যায়। আশেপাশের পুরো এলাকা আলোকিত করে দেয় মাশরুমগুলি।
[আরও পড়ুন: মঞ্চে মন্ত্রীর চুল কাটতেই হল স্বপ্নপূরণ, পুরস্কার হিসেবে সেলুন খোলার অর্থ পেলেন যুবক]
সাধারণত বর্ষাকালেই বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলি দেখা যায়। জুলাই থেকে অক্টোবর মাসে। বৈজ্ঞানিকরা মন করছেন, এটি মাইসেনা প্রজাতির মাশরুমেরই (Mycena mushrooms) একটি প্রকার। রাতের অন্ধকারে নিজেদের বিষাক্ত প্রাণীদের থেকে দূরে রাখতেই এভাবে বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলি থেকে আলো নির্গত হয়। এতে মাশরুমগুলির সংখ্যাও বাড়তে থাকে।
বহুদিন ধরেই মাশরুম মানুষের প্রিয় খাবারের তালিকায় রয়েছে। বিভিন্ন পদে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু মাশরুমের পদও রান্না করা হয়ে থাকে। নিরামিশাষিদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় খাদ্য মাশরুম। সময়ের সঙ্গে তার জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। কৃত্রিমভাবে মাশরুম চাষের প্রথাও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমস্ত প্রকার মাশরুম খাওয়ার জন্য নয়। বন্য এলাকায় এমন অনেক মাশরুম থাকে যার মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এমন মাশরুম পেটে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বায়ো-লুমিনিসেন্ট মাশরুমগুলি বিষাক্ত না বিষাক্ত নয়। তা খতিয়ে দেখার কাজ এখনও চলছে। রাতের অন্ধকারে এর মধ্যে থেকে কীভাবে আলো নির্গত হয়, তাও খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা।
[আরও পড়ুন: করোনায় বিয়ে বাড়ি ভরাতে অভিনব উদ্যোগ, অতিথিদের কাট আউট বানিয়ে তাক লাগালেন দম্পতি]
The post গোয়ার জঙ্গলে অদ্ভুত মাশরুমের জন্ম, রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো ছড়াচ্ছে আলো appeared first on Sangbad Pratidin.