টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ইংরাজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে অভিনব উদ্যোগ। ২০২৩ সালকে বরণ করতে নদীতে ২০২৩ বার ডুব দিলেন বাঁকুড়ার (Bankura)এক ব্যক্তি। তাঁর এই কীর্তি দেখতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। রবিবার সকালে বিষ্ণুপুরের লালবাঁধ এলাকা দ্রষ্টব্য হয়ে উঠল কেবল তাঁরই জন্য। বলছেন, গিনেস বুকে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে গত আট বছর ধরে এভাবেই বছরের শুরুর দিনটা সালের সমান অঙ্কে নদীতে ডুব দিয়ে থাকেন।
নাম সদানন্দ দত্ত। বাড়ি বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) চকবাজারে। মধ্যবয়সি সদানন্দবাবুর সমস্ত ভাবনাতেই অভিনবত্বের ছোঁয়া। যেমন বর্ষবরণ। অনেকে আগের রাত থেকে নতুন বছরের সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়টুকু জেগে নববর্ষকে স্বাগত জানান। কেউ আবার পছন্দের মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে নতুন বছর বরণ করে নেন। কিন্তু চিরাচরিত কোনও পথেই হাঁটেননি সদানন্দবাবু। ২০১৬ সাল থেকে তিনি বেছে নিয়েছেন নিজের অভিনব রাস্তা। সালের সমান অঙ্কে নদীতে ডুব দেওয়া (Dive)। অর্থাৎ ২০১৬ সালে তিনি ২০১৬ বার নদীতে ডুব দিয়েছিলেন। তারপর থেকে ডুব দেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে প্রতি বছর।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলই সরকার, তৃণমূলই বিরোধী’, বছরের শুরুতেই বিরোধীদের উদ্দেশে তোপ কুণাল ঘোষের]
২০২৩ সালেও তার ব্যতিক্রম হল না। এবারও সদানন্দবাবু ডুব দিলেন ২০২৩ বার। বছরের প্রথম দিন কুয়াশা ঢাকা লালবাঁধের জলে ৪৫ মিনিট ধরে একনাগাড়ে তিনি ডুব দিলেন। তাঁর এহেন কীর্তি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বিষ্ণুপুর শহরে আগত কয়েক হাজার মানুষ। এবছর তুলনায় উষ্ণ পরিবেশে বর্ষবরণ হয়েছে। কিন্তু অন্যান্যবার তো এমন সময়ে কনকনে ঠান্ডা থাকে বিষ্ণুপুর শহরে। কাকভোরে উঠে জলে ডুব দিতে কোনও সমস্যা হয় না? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানাচ্ছেন, অনেকে তো অনেক ভাবেই নববর্ষ পালন করেন। তিনি এভাবে ডুব দিয়ে নতুন রেকর্ড গড়তে চান।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরেও অটুট ভারতের সম্প্রীতি, হিন্দু শিশুকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন মুসলিম যুবক]
সদানন্দবাবু জানান, ”আমিও ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর লালবাঁধের জলে ডুব দিয়ে নতুন বর্ষকে স্বাগত জানাই। এবছর ২০২৩ টি ডুব দিয়েছি। লক্ষ্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলা।” রবিবার সাতসকালে ভরা লালবাঁধের টলটলে জলে সদানন্দবাবুর ডুব দেওয়া চাক্ষুষ করতে এসেছিলেন স্থানীয় গৃহবধূ রিয়া অধিকারী। তিনি বলছেন, ”আমার ওঁকে দেখে খুব ভাল লাগল। এত সুন্দর ভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন তিনি, এটা একেবারে নতুন উদ্যোগ। তাঁকে দেখে আমরাও বেশ উৎসাহিত হয়ে উঠি।”