সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিসলেরি ইন্টারন্যাশনাল’কে অধিগ্রহণ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। ৭ হাজার কোটি টাকায় প্যাকেটজাত জলের সংস্থাটি কিনবে ‘টাটা কনজ়িউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড’। ভারতের বৃহত্তম প্যাকেটজাত জলের সংস্থা বিসলেরির কর্ণধার রমেশ চৌহান জানিয়েছেন, তিনি এই নিয়ে টাটার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এখনও বিক্রির প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
১৯৬৯ সালে শুরু বিসলেরির পথ চলা। কিন্তু কেন প্রতিষ্ঠাতা এটি বিক্রি করে দিতে চাইছেন? ৮২ বছরের রমেশ জানাচ্ছেন, যোগ্য উত্তরসূরির অভাবেই এহেন সিদ্ধান্ত। তাঁর মেয়ে জয়ন্তী বাবার ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী নন। এই পরিস্থিতিতে তিনি এমন কাউকে এর দায়িত্ব দিতে চান, যে ঠিকমতো বিসলেরিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর সেক্ষেত্রে টাটা গোষ্ঠীকেই তিনি প্রথম পছন্দ হিসেবে মনে করছেন।
[আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় বিধায়ক দিব্যার কপালে চুম্বন রাহুলের! কটাক্ষ বিজেপির, পালটা নেত্রীর]
দেশের প্যাকেটজাত জলের মধ্যে বিসলেরির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কোকো কোলার কিনলে ও পেপসির অ্যাকোয়াফিনা। কিন্তু দুই বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে কড়া প্রতিযোগিতার মধ্যেই বিসলেরির জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। এর আগেও এই সংস্থার তৈরি থামস আপ, গোল্ড স্পট, সিট্রা, মাজা ও লিমকাও গোটা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পণ্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তিনি ঠান্ডা পানীয়র ব্র্যান্ডগুলি কোকা কোলার কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। যাদের মধ্যে থামস আপ লক্ষ লক্ষ ডলারের ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে মাজাও একই লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে আশা সংস্থার।
রমেশ অবশ্য ২০১৬ সালে ফের ঠান্ডা পানীয় ব্যবসায় মন দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ‘বিসলেরি পপ’ নামে একটি ঠান্ডা পানীয় বাজারজাত করেন। কিন্তু এই ব্যবসাটি তাঁর মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। এবার বিসলেরির দায়িত্ব টাটার হাতে সঁপতে মনস্থির করে ফেলেছেন অশীতিপর রমেশ। উল্লেখ্য, টাটা ইতিমধ্যেই ‘হিমালয়ান’ ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত জল বাজারে এনেছে। এবার বিসলেরির দায়িত্ব নিয়ে তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়াতে পারে কিনা, টাটা গোষ্ঠী সেটাই এখন দেখার।