স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: কর্নাটক সরকারের ‘ঢোল পেটানো’ হচ্ছে তেলেঙ্গানার (Telangana) সংবাদপত্রে। যার এক ও একমাত্র লক্ষ্য হল– তেলেঙ্গানার ভোটারদের প্রভাবিত করা। এর ফলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে কংগ্রেস (Congress) শাসিত সরকার। এই অভিযোগ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। নির্বাচন কমিশন সোমবার কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছে।
গত শনিবার তেলেঙ্গানার বিভিন্ন সংবাদপত্রে পাতাজুড়ে ঢালাও বিজ্ঞাপন দেয় কর্নাটক (Karnataka) সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ও অন্যান্য মন্ত্রীদের ছবি-সহ সেই বিজ্ঞাপনগুলি ছাপা হয়েছে তেলুগু ভাষায়। তার পর থেকে লাগাতার তিনদিন এই ধরনের নানা বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে ইয়েনাড়ু, অন্ধ্রজ্যোতি, ভেলেগুর মতো তেলুগু, ডেকান ক্রোনিকাল, দ্য হিন্দু, টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতো ইংরেজি এবং মিলাপের মতো হিন্দি ভাষার সংবাদপত্রে। সবক্ষেত্রেই বিজ্ঞাপনের ভাষা তেলুগু। এখানেই আপত্তি বিজেপির।
[আরও পড়ুন: ফের মহানুভবতার পরিচয় দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো! কিন্তু কীভাবে?]
কী কারণে কর্নাটক সরকারের ‘কল্পনাপ্রসূত সাফল্য’ ছাপা হচ্ছে নির্বাচন আসন্ন তেলেঙ্গানায়, তাও আবার তেলুগু ভাষায়? এই প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনী আচরণবিধি ও সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়কে হাতিয়ার করে সাত পাতার দীর্ঘ চিঠি দিয়ে বিজেপির দাবি, অবিলম্বে এই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হোক কর্নাটক সরকারকে। যেহেতু সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচার করা যায় না, তাই তেলেঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেসের থেকে বিজ্ঞাপনের খরচ উসুল করা হোক। এই খরচ জুড়ে দেওয়া হোক তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের নির্বাচনী খরচের হিসাবে।
বিজেপির অভিযোগ পেয়ে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কর্ণাটকের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে বলা হল, অবিলম্বে এই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে হবে। কোনওভাবেই তেলেঙ্গানার সংস্করণে কর্ণাটক সরকারের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।
[আরও পড়ুন: ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে দিল্লিতে গা ঢাকা, অনলাইন শপিং করতে গিয়েই জালে বাবা-ছেলে]
একই সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধির ছ’ নম্বর অধ্যায়ের ৬.৫ অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নির্বাচনি বিধি লাগু থাকা রাজ্যে কেন্দ্র বা কোনও রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে তা বিধিভঙ্গের সামিল হয়। এমনকী সেই সময় নির্বাচন না হওয়া রাজ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগেও কমিশনের অনুমতি নিতে হয়। কর্নাটক সরকার যার কোনওটাই করেনি।
কেন তা করা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জানাতে হবে কমিশনকে। এই কাজ করার জন্য তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তরের সচিবের বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ করা হবে, তার কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে।