রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ভবানীপুরের উপনির্বাচন (By Election) আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। এই সিদ্ধান্তের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দুষছে বিজেপি। এখনও স্থির হয়নি প্রার্থী। তবে উপনির্বাচনের রণকৌশল স্থির করতে রাজ্য দপ্তরে বৈঠকে বিজেপি নেতারা।
বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলার পদাধিকারী, মণ্ডলের নেতারা এদিনের বৈঠকে অংশ নেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে ছিলেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো ও অর্জুন সিং, রাজ্য নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষও। ভবানীপুরের (Bhabanipur) উপনির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, গেরুয়া শিবিরের নেতারা মুখে যাই বলুক না কেন ভবানীপুরের ‘ঘরের মেয়ে’র সঙ্গে লড়াই যে বেশ কঠিন হতে চলেছে, তা তারা ইতিমধ্যেই আঁচ করতে পারছেন। তাই সূত্রের খবর, বৈঠকে কয়েকজন দাবি জানান, ভবানীপুরের ভূমিপুত্র, সংগঠনের পরিচিত মুখ এরকম কাউকে প্রার্থী করা হোক। কম জনপ্রিয় কাউকে প্রার্থী না করা হলেই ভাল হয় বলে মত তাঁদের।
[আরও পড়ুন: রেহাই হাই কোর্টে, আপাতত গ্রেপ্তার করা যাবে না শুভেন্দু অধিকারীকে]
রাজ্য নেতৃত্বও প্রার্থী নির্বাচনের বিষয়ে সকলের মতামতই শোনেন। তবে কে প্রার্থী হবেন, সে সম্পর্কে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মঙ্গলবারের বৈঠকের পরই তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবারের বৈঠকে ভবানীপুরের নির্বাচন কমিটিও গড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের।
এদিকে, রাজ্য নেতৃত্ব বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছে, নতুন, পুরনো ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিলে কাজে নেমে পড়তে হবে। দলের পুরনো কার্যকর্তা, অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদেরও ডাকার কথা বলা হয়েছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির অন্দরের অশান্তি ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। একের পর এক দলবদলও লেগে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব দূর করাও শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।