দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: কামারকুণ্ডু রেলব্রিজ উদ্বোধন নিয়ে তুঙ্গে তরজা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালটা ওই একই জায়গায় সভার সিদ্ধান্ত বিজেপির। শনিবার বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে এসে পুরশুড়া বিধায়ক বিমান ঘোষ এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
শুক্রবার হুগলির সিঙ্গুরে কামারকুণ্ডু রেলব্রিজের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। ওইদিন রেলের কোনও আধিকারিককে আমন্ত্রণ না জানানোয় ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই পালটা সভার সিদ্ধান্ত বিজেপির। আগামী ১০ জুন সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডুতে সভার আয়োজন করল গেরুয়া শিবির। শনিবার বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে এসে পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ একথা জানান।
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে মাটিতে আছড়ে ‘খুন’, পারিবারিক বিবাদে রাজারহাটে প্রাণ গেল খুদের]
তিনি বলেন, “আগামী ১০ জুন কামারকুণ্ডু রেলব্রিজের কাছের ওই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং রেলমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হবে।” এই সভাতে থাকবেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। বিমান ঘোষ আরও বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সিংহভাগ অর্থ সাহায্যে এই রেলব্রিজে তৈরি হয়েছে। তা সত্ত্বেও সেখানে রেলের কোন আধিকারিক, কেন্দ্রের প্রতিনিধি, স্থানীয় সাংসদকে না জানিয়ে এই কামারকুণ্ডু উড়ালপুল উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি।”
সাধারণ মানুষের আবেগ উপেক্ষা করে রেলব্রিজ তৈরি হয়েছে বলেও দাবি বিজেপি বিধায়কের। তিনি বলেন, “যেখানে রেলব্রিজ তৈরি হয়েছে সেখানকার একটা ইতিহাস রয়েছে। শুক্রবার উড়ালপুল উদ্বোধনের পরই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওখানে একটি শীতলা মাতার মন্দির ছিল। ওই মন্দির সরিয়ে পাশে করার কথা ছিল। সেখানে মানুষের আবেগকে উপেক্ষা করা হয়েছে।” উল্লেখ্য, শুক্রবার রেলব্রিজ উদ্বোধনের আগে স্থানীয় একটি সন্তোষী মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী। শাড়ি, ফুল, মিষ্টি দিয়ে পুজো দেন। মন্দির চত্বরে বেশ কয়েকজন শিশুকে খাবারও খাওয়ান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, সিঙ্গুরে বিজেপির পালটা সভাকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যেসব প্রকল্প শুরু করেছেন, তা মুখ্যমন্ত্রীরই কৃতিত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন যে প্রকল্পগুলি শুরু করেছেন তাতে টাকা বরাদ্দ হয় না কেন? বিজেপির নেতারা আগে দিল্লি যান। দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাকে কী দিয়েছেন।” রেলপ্রকল্প নিয়ে আপাতত দড়ি টানাটানিতে সরগরম গোটা রাজ্য।