বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সমূহ বিপদ। দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া প্রবল। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট হাতে আসতেই লোকসভা নির্বাচনের প্রাথমিক প্রচার কৌশল চূড়ান্ত করার পথে গেরুয়া শিবির। নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকতেই নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) মুখ করে প্রচারের ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করল বিজেপি (BJP)।
ঠিক হয়েছে, প্রবাস সংযোগের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪০টি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে অধিকাংশ গত লোকসভা ভোটে হারা আসন। রয়েছে বাংলার তিনটি কেন্দ্রে তিনটি সভা। মোট ১৪৪টি সভা হবে। বাকি ১০৪টি সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মতো হেভিওয়েট নেতারা হাজির থাকবেন বলে পদ্মশিবির সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: তমোঘ্ন বিতর্কের মাঝেই আচমকা তাপস রায়ের বাড়িতে হাজির কুণাল ঘোষ, কারণ ঘিরে চাঞ্চল্য]
চলতি বছরের শেষে দুই গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য গুজরাত ও হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোট। পরের বছর ভোট হবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্নাটক ও ত্রিপুরার মতো বেশ কয়েকটি রাজ্যে। প্রতিটি রাজ্যেই প্রচারে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। তবে শুধু বিধানসভা নির্বাচন নয়, দেড় বছর পর লোকসভার কথা মাথায় রেখেই প্রচারের ‘রোডম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে। যেসব রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে সেখানে গত লোকসভায় হেরে যাওয়া আসনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়। সম্প্রতি দলের সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে আগামী বিধানসভা ও লোকসভার ভোটের প্রচার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দু’টি বৈঠকে দেশের ১৪৪টি হারা ও দুর্বল আসন চিহ্নিত করে প্রচারের পরিকল্পনা হয় বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, অধিকাংশ আসনে প্রধানমন্ত্রীকে মুখ করে বড় সমাবেশ করা হবে। ৪০টি বড় সভা করবেন নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের ছ’মাস আগে পর্যন্ত এই প্রচারাভিযান চালানো হবে। এছাড়াও আগামী বছর দু’দফায় বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনটি সভা করবেন। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গে একটি ও দক্ষিণবঙ্গে দু’টি বড় সভা করবেন বলে সূত্রের খবর। এই তিনটি সভার মধ্যে সরকারি অনুষ্ঠানও রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুট কাঁকিনাড়ায়, সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রৌঢ়ের]
সূত্রের খবর, মোাদি ছাড়াও অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, জে পি নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথ, ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানিরা সমাবেশ করবেন। সেই সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও হেভিওয়েট নেতাদেরও প্রভাস সংযোগের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রচারে নামানো হবে। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেই সমাবেশের স্থান ঠিক হবে। তবে যে কেন্দ্রে দলের সংগঠন দুর্বল থেকে দুর্বলতর সেখানেই প্রচারে জোর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।