সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কথায় বলে, ভোট বড় বালাই! পুরুলিয়ার পুরভোটের প্রচারে মিলল তার হাতেগরম প্রমাণ। ভোটারদের প্রভাবিত করতে কেউ টাকা বিলি করেন, কেউ বহু সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতি দেন। পুরুলিয়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের খাজুড়িয়ায় দেখা গেল অন্য এক ছবি। কেজি-কেজি মাংস বিলি করে ভোট কেনার চেষ্টা করছেন প্রার্থী! এমনই অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল।
২৭ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ায় পুরভোট। তার আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচার ছিল আজ। ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। এদিন সকাল ১০টার পর খাজুড়িয়া এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, সেখানে ভোটারদের মন পেতে মাংস বিলি করেন তিনি। এক-একজন ভোটারকে ব্যাগ ভরতি মাংস নিয়ে যেতে দেখা যায়। জিজ্ঞেস করলে ভোটাররা জানান, “আজ খাওয়া-দাওয়া হবে। কাল্টুদা মাংস দিয়েছে।” উল্লেখ্য, কাল্টুদা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের অপর নাম।
[আরও পড়ুন: পাঞ্জাবের ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা! কমিশনের নির্দেশে ভোটের দিন ঘরবন্দি সোনু সুদ]
মাংস বিলির ছবি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর ক্যামেরাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। খবর পৌঁছয় তৃণমূলের বিদায়ী প্রার্থী পুরপ্রশাসক নবেন্দু মাহালির কাছে। বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। নবেন্দুবাবুর অভিযোগ, “বিধানসভা নির্বাচনের সময় ভোট কিনতে মদ-মাংস বিলি করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটারদের পিকনিক করতে টাকাও দিয়েছেন। এদিন মাংস বিলি করছেন বলেও খবর পেয়েছি। এটাই ওঁর সংস্কৃতি। কিন্তু এভাবে ভোট পাওয়া যাবে না।” তিনি আরও জানান, আগামিকালই নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে সুদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, “মাংস বিলির অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। আমি এভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করি না। আমরা কাজ দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করি।” জেলার নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানিয়েছেন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।