রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সম্প্রতি বারবার প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির দলীয় অন্তর্কলহ। যার জেরে এবার দলের বিভিন্ন সেলের আহ্বায়ক পদ থেকেও অধিকাংশ পুরনো নেতৃত্বকে বাদ দিল রাজ্য বিজেপি। আনা হল নতুনদের।
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের জমানায় যাঁরা দলের বিভিন্ন সেলের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের প্রায় সকলকেই সেই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার-অমিতাভ চক্রবর্তী। দলের ১৮টি সেলের নয়া কমিটি শুক্রবার ঘোষণা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিলীপ জমানা থেকে উদ্বাস্তু সেলের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মোহিত রায়। পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে দলের অনীহা কেন, সেই প্রশ্ন তুলে রাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) গ্রুপে মন্তব্য করেছিলেন মোহিতবাবু।
[আরও পড়ুন: ১০০ বছরে পা হীরাবেনের, মায়ের পা ধুইয়ে নিলেন আশীর্বাদ, আবেগঘন বার্তাও দিলেন মোদি]
এর পর গ্রুপের সেটিংস বদলে দেওয়া হয় দলের আইটি সেলের তরফ থেকে। তার পরই ক্ষোভে দলের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান মোহিত রায়। সেই মোহিতবাবুকে উদ্বাস্তু সেলের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকারকে আনা হয়েছে। প্রশ্ন, সিএএ (CAA) নিয়ে মুখ বন্ধ করার জন্যই কি উদ্বাস্তু সেলের আহ্বায়ক করা হল অসীমবাবুকে। বিদ্রোহী শিবিরের নেতা সমীরণ সাহাকে ট্রেড সেলের আহ্বায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা সেলের আহ্বায়ক দীপল বিশ্বাসকে সরিয়ে অসিতকুমার মণ্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের সঙ্গে দূরত্ব রাখা অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় সংস্কৃতি সেলের আহ্বায়ক করা হয়েছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে (Rudranil Ghosh)। এই শাখায় অভিনেতার সহ-আহ্বায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রকে। অর্থনীতি সেলের দায়িত্বে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। প্রোটোকল সেলের আহ্বায়ক করা হয়েছে উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদারকে। বাণিজ্য শাখার আহ্বায়ক হলেন বৈশালী ডালমিয়া।