রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আগামিকাল অর্থাৎ বুধবারই ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Bhabanipur By Election) জন্য প্রার্থী ঘোষণা করে দিতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যেই দলের রাজ্য নেতারা ভবানীপুরের প্রার্থী নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে ফেলেছেন। বেশ কয়েকটি নাম দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।সম্ভবত দিল্লি থেকেই আগামিকাল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। চমকপ্রদ ব্যাপার হল, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রার্থী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে অনেক নেতাই লড়তে রাজি হচ্ছেন না।
মঙ্গলবার দিলীপবাবু জানান, ভবানীপুরে এই সময় ভোটের জন্য প্রস্তুত ছিল না বিজেপি। কমিশন একতরফাভাবে ভোট ঘোষণা করে দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরকে প্রার্থী বাছাইয়ে যে খানিকটা হলেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি জানিয়েছেন, ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে অনেকের নাম নিয়েই আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই সময়ে প্রার্থী হতে রাজি নন। আসলে ভবানীপুরে প্রার্থী করা নিয়ে তথাগত রায়ের মতো নেতারা রাজ্য নেতাদের খোঁচা দিয়েছেন। দিলীপ সম্ভবত এদিন তথাগতদের মতো নেতাদের কটাক্ষ করতেই এই মন্তব্য করেছেন।
[আরও পড়ুন: ভবানীপুর কেন্দ্রে পছন্দের সুবোধকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন Tathagata Roy, জানেন কে এই সুবোধ?]
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির (BJP) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে আসছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো দীনেশ ত্রিবেদী। রয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে রুদ্রনীলই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে লড়েন এবং পরাজিত হন। প্রার্থী হিসাবে যাঁদের নাম জল্পনায় উঠে আসছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম ভাসছে গত বিধানসভায় বোলপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়েরও।এছাড়াও মহিলা নেত্রী হিসাবে ভারতী ঘোষের নামও ভাসছে।
[আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহ থেকেই ভবানীপুরে প্রচারে মমতা, তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ নুসরত]
আসলে, গেরুয়া শিবিরের নেতারা মুখে যাই বলুক না কেন ভবানীপুরের ‘ঘরের মেয়ে’র সঙ্গে লড়াই যে বেশ কঠিন হতে চলেছে, তা তারা ইতিমধ্যেই আঁচ করতে পারছেন। তাই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজটি অনেক ভেবেচিন্তে করতে চান তাঁরা। সেক্ষেত্রে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী লড়াই করতে আপত্তি জানানোয় বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের সমস্যা আরও বাড়ছে।