দেবব্রত মণ্ডল, ডায়মন্ড হারবার: দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন। পুলিশের আশ্বাসে বাড়ি ফেরার পর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক ‘মারধর’। পাকস্থলীতে আঘাত লেগেছে তাঁর। ঝড়খালি কোষ্টাল থানার পার্বতীপুর গ্রামের ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
আহত বিমল মণ্ডল, ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডল সহ সভাপতি। বৃহস্পতিবার ওই বিজেপি নেতা বাইক চালিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও দিলীপ মণ্ডলের নেতৃত্বে জনাপঞ্চাশ দলীয় কর্মী সমর্থক তাঁর বাইক কেড়ে নেয়। রাস্তায় ফেলে বিজেপি নেতার বুকে ও পেটে লাথি মারে। পাকস্থলীতে আঘাত লেগেছে বলেও অভিযোগ। বর্তমানে ওই বিজেপি নেতা চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার জানান, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে ঝড়খালি ৪ নম্বর মণ্ডল সহ সভাপতি আক্রান্ত হন। মারধর করে পাকস্থলী ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এমন নোংরা রাজনীতির জন্য তৃণমূলকে ধিক্কার জানাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: পার্কিং লটে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা! দেখে ফেলায় গাড়ির চাকায় পিষে স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা প্রযোজকের]
এদিন হাসপাতালে জখম বিজেপি নেতাকে দেখতে যান অগ্নিমিত্রা পল। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের মূল মাথা হিসাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বাইন ও ঝড়খালি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবিও জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। গ্রেপ্তার না হলে বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধের হুমকিও দিয়েছে বিজেপি।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অযথা অশান্তির আবহ তৈরি করছে বিজেপি, দাবি রাজ্যের শাসকদলের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে উত্তপ্ত ঝড়খালি। যাতে নতুন করে অশান্তি না হয় তাই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।