অর্ণব আইচ: মাদক কাণ্ডে বিজেপি (BJP) যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবার দলের নেতা রাকেশ সিংকে (Rakesh Sing)তলব করল লালবাজার। মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে তাঁকে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতেই কোকেন-সহ বিজেপি নেত্রীর গ্রেপ্তারি মামলার তদন্তভার নিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। আর দায়িত্ব পেয়েই তৎপর গোয়েন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে নোটিস পাঠিয়ে তলব করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাকেশ সিংকে। তবে রাকেশের তরফে এ নিয়ে এখন কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত ১৯ তারিখ নিউ আলিপুরের এনআর অ্যাভিনিউ থেকে প্রায় ১০০ গ্রাম কোকেন-সহ (Cockain) গ্রেপ্তার হন বিজেপি যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী। তিনি হুগলির যুব মোর্চার পর্যবেক্ষক পদে ছিলেন। পামেলা মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত, পুলিশের কাছে এই তথ্য ছিলই। তার ভিত্তিতে নজরদারি চালিয়ে শুক্রবার পামেলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন তাঁকে আলিপুর আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে যুব নেত্রী বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, “এটা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ঘনিষ্ঠ রাকেশ সিংয়ের চক্রান্ত। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। ওঁকে গ্রেপ্তার করা হোক।”
[আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে ফের কল্পতরু রাজ্য, বিপুল হারে বাড়ল ভোকেশনাল শিক্ষকদের বেতন]
পামেলার এই অভিযোগ নিয়ে সরব হন রাকেশও। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে থাকার পরই যুব নেত্রী তাঁর নাম প্রকাশ্যে এনেছেন। অতএব, এটি কোনও চাপে পড়েই তাঁর এই কাজ বলে মনে করছেন রাকেশ সিং। তিনি দাবি করেছিলেন, প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধৃত বিজেপি যুব নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। মাদক কাণ্ডে পামেলার গ্রেপ্তার হওয়ার পিছনে কোনওভাবেই তিনি জড়িত নন। তবে এই মামলায় সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে অথবা এর পিছনে পুলিশি যোগ প্রমাণিত হলে মানহানির মামলা করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপি নেতা। এরপরই ঘটনার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। পামেলার অভিযোগের ভিত্তিতে রাকেশকে নোটিস পাঠিয়ে মঙ্গলবারই তলব করা হয়েছে লালবাজারে।