সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর (SIR in Bengal) নিয়ে বাংলায় আতঙ্কের শেষ নেই! এর মধ্যেই শুরু হয়েছে শুনানি পর্ব। যেখানে প্রবীণ মানুষদের শুনানির জন্য ডাকা হচ্ছে। যা নিয়ে আগেই সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, প্রবীণ নাগরিকদের শুনানিতে ডাকা নিয়ে কমিশনকে একহাত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Abhishek Banerjee)। এই ইস্যুতে ফের একবার কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন শাসকদলের। পাশাপাশি শুনানিপর্বে বিএলএদের রাখার দাবিও কমিশনের কাছে জানানো হয়।
আজ সোমবার দুপুরে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তর অর্থাৎ সিইও দপ্তরে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাংসদ পার্থ ভৌমিক, মন্ত্রী শশী পাঁজা, পুলক রায়, বিরবাহা হাঁসদারা। দীর্ঘক্ষণ সিইও সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলেন, ''শুনানিতে প্রবীণ নাগরিক, প্রতিবন্ধীদের ডাকা হচ্ছে। তাঁদের কষ্টের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার দিকে নজর দিচ্ছে না কমিশন।'' এই অবস্থায় বাড়িতে লোক পাঠিয়ে কমিশন যাতে শুনানির ব্যবস্থা করে সেই দাবি জানানো হয়।
একইসঙ্গে ফের একবার এসআইআর সংক্রান্ত শুনানিতে বিএলএদের উপস্থিতির দাবি জানানো হয়। পার্থ ভৌমিক বলেন, ''এসআইআরের প্রথম পর্বে বাড়িতে বাড়িতে বিএলওদের সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক দলের বিএলএদের অনুমতি দিয়েছিলেন। শুনানিতে কেন বিএলএরা থাকতে পারবেন না?'' প্রশ্ন বারাকপুরের তৃণমূল সাংসদের। এই বিষয়ে কমিশন যাতে ব্যবস্থা নেয় সেই দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ভারচুয়াল হিয়ারিং শুরু করারও দাবি জানানো হয়েছে। পার্থ ভৌমিক বলেন, ''অনেকেই পড়াশোনার জন্য বাইরে আছেন, কেউ কাজের জন্য বাইরে আছেন, বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের কথা ভেবে ভারচুয়াল হিয়ারিংয়ের ব্যবস্থা নিতে হবে।''
শুধু তাই নয়, হিয়ারিংয়ের প্রথমদিনে কেউ যদি থাকতে না পারেন, তাহলে তাঁকে দ্বিতীয় সুযোগও দেওয়ার দাবি জানানো হয় এদিন তৃণমূলের তরফে। পার্থ ভৌমিক বলেন, এই সমস্ত কমিশনের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সিইও দপ্তর থেকে পাওয়া গিয়েছে। তা না হলে ফের আগামিকাল মঙ্গলবার কমিশনের দ্বারস্থ তাঁরা হবেন বলেই জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
