সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে ভাঙন। একাধিক তাবড় তাবড় নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কানাঘুষো শুরু বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে ফেরার অপেক্ষায় ওই নেতা।
তৃণমূলের সঙ্গে বহু পুরনো সম্পর্ক সব্যসাচী দত্তের। ২০১৯ সালে দুর্গাপুজোর ঠিক আগে দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। দায়িত্বও পেয়েছিলেন। তবে যোগদানের কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়। ২০২০ সালের মাঝামাঝি শুরু হয়েছিল সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা। সূত্রের খবর, সেই সময় একাধিক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথাও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেশ ফেরা হয়নি। দলের একাংশের দাবি, তাঁর এই দলে ফেরার পথে বাধা মন্ত্রী সুজিত বসু ও রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ফের বাম-কংগ্রেস সমঝোতার জল্পনা! উপনির্বাচনে জোট নিয়ে কথা বিমান-অধীরের]
সূত্রের খবর, তৃণমূলে ফেরা না হলেও দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে সব্যসাচী দত্তের। যদিও বর্তমানে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তিনি। EZCC-তে বিজেপির নেতা-কর্মীরা যে পুজোর আয়োজন করেন, তার দায়িত্বেও সব্যসাচী। এমনকী খড়দহ উপনির্বাচনের ইনচার্জ তিনি। তবে সূত্রের খবর, দলের কাজে একেবারেই সক্রিয় নন সব্যসাচী। শোনা যাচ্ছে, গত কয়েকদিনে একাধিকবার তিনি কথা বলেছেন তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে। তবে এখনও যোগদান নিয়ে তৃণমূলের তরফে সবুজ সংকেত মেলেনি। এখনও উঠে আসছে সেই সুজিত বসু ও তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সংঘাতের তত্ত্ব।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সব্যসাচী দত্তের তৃণমূলে ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র। উল্লেখ্য, মুকুল রায় বিজেপি ছাড়ার পর থেকেই আশঙ্কা ছিল যে কোনও মুহূর্তে তৃণমূলে ফিরতে পারেন সব্যসাচী দত্ত। তাঁকে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার কারিগরও মুকুল রায়ই। তৃণমূলে থাকাকালীনও সব্যসাচী নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মুকুলের সঙ্গে। এমনকী, বিধাননগরে তাঁর বাড়িতে লুচি-আলুর দম পর্বও বেশ আলোড়ন ফেলেছিল রাজ্য রাজনীতিতে।