অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ‘বিষমদ’ খেয়ে হাওড়ায় প্রাণহানির ঘটনার প্রতিবাদে ডাকা সভার অনুমতি পেল না বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে শুক্রবার বেলা তিনটেয় মালিপাঁচঘড়া থানার সামনে সভা করার কথা ছিল। তবে পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার ফলে বাধ্য হয়ে সভা বাতিলের পরিকল্পনা নেয় বঙ্গ বিজেপি। পরিবর্তে হাওড়া জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করে পুলিশ কমিশনারেটের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পদ্মশিবিরের। ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ বিজেপির।
হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুড়ি এলাকায় বহুদিন ধরেই মদের ঠেক চালান প্রতাপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। সন্ধে হতেই সেখানে ভিড় জমান এলাকারই প্রচুর শ্রমিক। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। স্থানীয়দের দাবি, সন্ধেয় ওই ঠেকে মদ খাওয়ার পরই বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের অবস্থার অবনতি হয়। এদিকে একের পর এক বাড়তে থাকে অসুস্থের সংখ্যা। রাতেই অসুস্থদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: দেহে সুতোটুকু নেই, ক্যামেরায় পোজ রণবীরের! বললেন ‘হাজার মানুষের সামনে নগ্ন হতে পারি’]
ভোরের দিকে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এখনও পর্যন্ত মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ‘বিষমদে’ প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালিপাঁচঘড়া এলাকায়। বুধবার সকালে মৃত ও অসুস্থরা যে মদের দোকান থেকে মদ কিনেছিলেন, সেখানে জড়ো হয় উত্তেজিত জনতা। চলে ভাঙচুর। তাঁদের অভিযোগ, মদে বিষক্রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই জনের। যদিও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়ার ঘুসুড়ি যায় বিজেপির প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘুসুড়িতে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃতদের বাড়িতে যান তিনি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিজেপি নেতাকে সামনে পেয়ে মদের ঠেক নিয়ে তাঁদের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের পাশে থাকা আশ্বাস দেন সুকান্ত। ওই এলাকায় দাঁড়িয়েই বিষমদ ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ দাগেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।