নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP)। রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও করেছে তারা। আরও একবার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুক কেন্দ্র, দাবি বিরোধী দলনেতার। তবে তাঁর এই মন্তব্যকে আমল দিতে নারাজ শাসকদল তৃণমূল। সিপিএম এবং কংগ্রেসও শুভেন্দুর মন্তব্যের বিরোধিতায় সরব।
বগটুই কাণ্ড, হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডের (Hanskhali Rape Case) প্রতিবাদে বুধবার বীরভূমের সিউড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ওই মিছিলে পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশ বাধা দেয়। ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন বিরোধী দলনেতা। তাতে পায়ে চোট পান তিনি। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় শুভেন্দুকে। তবে এদিনের মিছিল থেকে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, “ভোটাভুটির নিরিখে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতাই থাকুন। ৩৫৫ ধারা দিয়ে দিক। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ে নিক।”
[আরও পড়ুন: তপন কান্দু খুনে সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেপ্তার, টানা ২১ ঘণ্টা জেরার পর ধৃত তৃণমূল নেতা]
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর আলোচনা। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) শুভেন্দুর মন্তব্যকে অবশ্য আমল দিতেই নারাজ। তাঁর মতে, “এমনিই ওর মাথায় গণ্ডগোল। গরমে হাঁটতে হাঁটতে মাথার তালু গরম হলে এসব কথা বলে। পাগলামি আরও বেড়ে যায়। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে যখন কুৎসিত ঘটনা ঘটে তখন কোথায় থাকে? যোগীরাজ্যে উন্নাও, হাথরসের ঘটনা ঘটলে কোখায় থাকে? ত্রিপুরায় ঢালাও সন্ত্রাসের সময় কোথায় থাকে? বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। অথচ অযথা কুৎসা করা হচ্ছে।”
শুভেন্দুর মন্তব্যকে সমর্থন করেননি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর মতে, “শুভেন্দুর কথায় কিছু আসে যায় কিনা জানিনা। উনি মমতার ভাষাতেই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ষা করতে সুকৌশলে দিল্লির প্রচেষ্টা রয়েছে তা সকলেই জানেন। তবে এই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করি না। বিজেপি কি আধাখেচড়া রাজ্য চাইছে? বাংলা বিজেপির ইচ্ছায় দিল্লির মতো হবে নাকি?” পাশাপাশি ঘাসফুল শিবিরেরও তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর কটাক্ষ, “বাংলায় তৃণমূল যেভাবে চলছে, সেভাবে চলতে পারে না।” কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী অবশ্য এসব বিষয়ে বিশেষ কথা বলতেই নারাজ। তিনি বলেন, “কোথায় কে কী বলে জানা নেই। উদ্ভট তত্ত্বের রাজনীতি আমি করি না। যাঁরা বলেন তাঁরাই ব্যাখ্যা দিতে পারেন।”