বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত: আচমকা বিজেপির ঘরে সিপিএম! শুভেন্দু অধিকারী ও সুজন চক্রবর্তী- দুই নেতার মুখোমুখি সাক্ষাতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়। যদিও শুভেন্দু অধিকারি ও সুজন চক্রবর্তী দু’জনেই জানান, এটি নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তাঁরা।
পুজোর পর আজ, শুক্রবার প্রথম বিধানসভায় আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন তিনি। ঠিক তখনই বিরোধী দলনেতার ঘরের দরজা ঠেলে ঢোকেন প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। সুজনকে দেখে চমকে ওঠেন বিজেপি বিধায়করা। তাঁকে দেখে এগিয়ে যান বিরোধী দলনেতা। দু’জন দু’জনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। জানান বিজয়ার শুভেচ্ছা।
[আরও পড়ুন: আগামী বছরেই গঙ্গা গর্ভে ছুটবে মেট্রো, জোরকদমে চলছে ট্রায়াল রান]
বেশ খানিকক্ষণ উপনির্বাচন ও রাজ্য রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা চলে। কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর নিয়েও। এরপরই তাঁদের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। বিশেষ করে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আগের দিন তাঁদের সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্য রাজনীতিতে সৌজন্যের পরিবেশ প্রায় নেই বললেই চলে। সেই কারণেই এই সাক্ষাৎকে অন্যভাবে দেখা হচ্ছে। তবে এটি একেবারেই সৌজন্য বিনিময়। সুজন চক্রবর্তীর গলাতেও একই সুর। জানান, “ব্যক্তিগত কাজে বিধানসভায় এসেছিলাম। খবর পেলাম অধ্যক্ষ ও বিরোধী দলনেতা দু’জনেই আছেন। প্রথমে অধ্যক্ষের কাছে যাই শুভেচ্ছা জানাতে। তারপর বিরোধী দলনেতাকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।”
উল্লেখ্য, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কার্যকারিণী কমিটি ও সর্বদলীয় বৈঠকে যাবে না বলে বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। উৎসবের মরশুমে অধিবেশন ডাকার প্রতিবাদেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বিজেপি (BJP) পরিষদীয় দলের তরফে জানা যায়। অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার বাইরে ও ভিতরে বারবার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানানোর কৌশল নেওয়া হয়।