রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় এখনও থমথমে নন্দীগ্রাম। প্রতিবাদে সোমবার নন্দীগ্রামে মৌন মিছিল করেন বিজেপি নেতা। প্রাণহানির ভয় তিনি পান না বলেই মিছিল শেষে নাম না করে তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে বার্তা তাঁর।
শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এক সময়ের তৃণমূল নেতা কণিষ্ক পণ্ডা রবিবারই জানান, শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্রে ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। সেই অভিযোগের পর থেকেই তোলপাড় নন্দীগ্রাম। প্রতিবাদে সরব বিজেপি। যদিও তৃণমূল ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে মৌন মিছিলের পর একটি সভা থেকে কারা এই সহায়তা কেন্দ্র ভেঙেছে তা স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু। গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) রয়েছে বলেই দাবি তাঁর। ভাঙচুরের ঘটনায় এফআইআরও হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে নাকখত দিয়ে বেরিয়ে যাব’, উন্নয়নকে হাতিয়ার করে বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ মমতার]
আপাতত ওই সহায়তা কেন্দ্র বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমি অফিসটা বন্ধ রাখছি এখন। যারা পাঁচটা পয়সা দেয় না, পাঁচতলা-ছ’তলা বাড়িতে থাকে, গুষ্টিসুদ্ধ চাকরি নিয়েছে, মাছের ভেড়ি, খাসজমি দখল করেছে, এই সমস্ত করেছে তারাই। তারাই আজকের এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আপনারা এইসবে ভয় পাবেন না।” শুভেন্দু অধিকারী দলবদল করায় বারবার হামলা হচ্ছে বলেও দাবি নব্য বিজেপি নেতার। তবে এভাবে তাঁকে ভয় পাওয়ানো যাবে না বলেই দাবি শুভেন্দুর। তিনি বলেন, “মৃত্যু একবার হবে, দু’বার নয়, ভয় করি না।” উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের সহায়তা কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনায় সেই অভিযোগেই যেন সিলমোহর পড়ল।
নির্বাচন বিধি চালু হলে ‘অত্যাচার’ বন্ধ হবে বলেই দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা শুভেন্দুর। তাঁর কথায়, “নির্বাচনী বিধি চালু করতে দিন। আধা সামরিক বাহিনী আর নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা দেখবেন। ওরা বলছে নন্দীগ্রাম আন্দোলন নাকি আমার নিজের আন্দোলন আমি বলেছি। আপনারা শুনে রাখুন এই আন্দোলন আমারও নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয় এটা নন্দীগ্রাম (Nandigram) মানুষের আন্দোলন।” তবে শুভেন্দু অধিকারী যাই বলুন না কেন তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন ভিডিও:
এদিকে, এদিন সন্ধেয় রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু।