বিক্রম রায়, কোচবিহার: ভোটপ্রচারে গিয়ে বিএসএফে (BSF) ডিজির সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁদের এই গোপন সাক্ষাৎ ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের অভিযোগ, নির্বাচনে বিএসএফের থেকে সাহায্য চাইতেই এই বৈঠক।
নির্বাচনী প্রচারে উত্তরঙ্গে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে কোচবিহারের কাঁকরিবাড়িতে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় সেখানকার বিএসএফের ক্যাম্পে যান দু’ জনে। আধা সেনার কর্তাদের সঙ্গে দু’ জনে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা সারেন তাঁরা। এদিকে সেখানে নির্বাচনীবিধি কার্যকর রয়েছে। এর মধ্যে বিএসএফের সঙ্গে এই বৈঠক সেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: ‘বেঁচে থাকতে এ দলে ফিরব না’, ক্ষোভ উগরে বিজেপি ছাড়লেন বসিরহাটের বাবু মাস্টার]
তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “বিজেপির রাজ্য নেতারা আজ সোনারিতে বিএসএফের সঙ্গে দেখা করেছেন। দিনহাটায় সাহায্য চাই।” তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনীবিধি ভেঙেছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। এটা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করব। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির কথায়, “আমি যেখানেই যাই সেখানেই বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করি। দিল্লিতেও গিয়েও তাই করি। এদিনও তাই করেছি।” একই কথা শোনা গিয়েছে সুকান্তের গলায়। তাঁর দাবি, “দিলীপ ঘোষ লোকসভার বিশেষ কমিটির সদস্য। তাই তিনি বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন। এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।”
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে হাতাহাতি, মাথা ফাটল রোগীর আত্মীয়র! তীব্র উত্তেজনা বারুইপুরের হাসপাতালে]
প্রসঙ্গত. বিএসএফের কাজের ব্যাপ্তি বাড়ানো হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানানো হয়েছে। এবার থেকে বাংলা-সহ তিন রাজ্যে ৫০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে তল্লাশি চালাতে পারবে তারা। প্রয়োজনমাফিক জিজ্ঞাসাবাদ, বাজেয়াপ্ত, এমনকী গ্রেপ্তার করতে পারবে তাঁরা। তবে তা শর্তসাপেক্ষে। সঙ্গে থাকবে রাজ্য পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) নয়া নির্দেশিকায় শুধু বাংলা নয়, অসম ও পাঞ্জাবেও বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। বিএসএফের অফিসাররা এতদিন গ্রেপ্তার, বাজেয়াপ্ত এবং তল্লাশি করতে পারত। তবে সেটা ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত। এবার তাঁদের অবস্থান থেকে ৫০ কিমি ভিতরে ঢুকে এই কাজ করতে পারবেন। আর অমিত শাহের (Amit Shah) মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।