সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিনেশ ফোগাট, বজরং পুনিয়া কংগ্রেসে যোগ দিতেই ফুঁসে উঠেছিলেন তিনি। ভিনেশকে কংগ্রেস প্রার্থী করার পরই ঘোষণা করেছিলেন, প্রাক্তন কুস্তিগিরের বিরুদ্ধে নিজে প্রচারে যাবেন। কিন্তু সেটা বোধ হয় আর করতে পারবেন না ব্রিজভূষণ শরণ সিং। কারণ বিজেপির তরফে তাঁকে সতর্ক করে বলে দেওয়া হয়েছে, আপাতত ভিনেশদের নিয়ে মুখ খুলবেন না।
কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান দাবি করেছিলেন, "অলিম্পিকে পদক হাতছাড়া হয়েছে ভিনেশের পাপের ফলে। ভিনেশ এবং বজরং আসলে কংগ্রেসের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ঘুটি। ওরা উপরতলার ইশারায় কাজ করেছে।" বলা বাহুল্য, ব্রিজভূষণের সেই মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। হরিয়ানাজুড়ে বিজেপি বিরোধী মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া শুরু যায়। ভোটের মুখে ফের ব্যাকফুটে পড়ে যায় বিজেপি।
[আরও পড়ুন: সন্তানদের হারিয়েই বদলা? উত্তরপ্রদেশের নেকড়ে-আতঙ্কের কারণ খুঁজলেন বিশেষজ্ঞরা]
আসলে কুস্তিগিরদের আন্দোলন এবং অলিম্পিকে পদক হাতছাড়া হওয়ার পর ভিনেশদের প্রতি সহানুভূতির স্রোত বইছে হরিয়ানাজুড়ে। হরিয়ানার কুস্তির আখড়াগুলিতে ব্রিজভূষণ এখন 'ভিলেন'। তিনি ভিনেশদের নিয়ে যাই বলুন, বিজেপির জন্য তার 'বিরূপ' প্রতিক্রিয়াই হবে, সেটা নিশ্চিত। সেকারণেই সম্ভবত, দলের সিনিয়র নেতারা সতর্ক করে দিলেন ব্রিজভূষণকে। আপাতত ভিনেশদের নিয়ে তাঁর মুখ না খোলাই মঙ্গল, জানিয়ে দেওয়া হল কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধানকে।
[আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহেই রাশিয়া যাচ্ছেন অজিত ডোভাল, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বৈঠক করবেন পুতিনের সঙ্গে!]
উল্লেখ্য, ব্রিজভূষণের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই তাঁকে পালটা দিয়েছে কংগ্রেস। খোদ বজরং পুনিয়া তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলে বলেছেন, "এখান থেকেই ব্রিজভূষণ সিংয়ের মানসিকতা বোঝা যায়। ওটা শুধু ভিনেশের মেডেল হত না। ১৪০ কোটি ভারতীয়র মেডেল হত। উনি ওর পরাজয় নিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। যারা ভিনেশের ডিসকোয়ালিফিকেশনে উল্লাস করে তারা কি দেশভক্ত? আমরা ছোটবেলা থেকেই দেশের জন্য লড়ছি। আর এরা এসেছে আমাদের দেশভক্তি শেখাতে। এরা তো মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে।”