জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিজেপি পরিচালিত গাইঘাটা ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল। শুক্রবার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ৪ সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন।
গত পঞ্চায়েত ভোটে বনগাঁ মহকুমায় বিজেপি চারটি পঞ্চায়েত দখল করেছিল। আগেই তিনটি পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। ধর্মপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে চলে আসায় মহকুমার প্রত্যেকটি পঞ্চায়েতে তৃণমূল দখল করল। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, শুক্রবার তৃণমূলে যোগদান করেন নিলাদ্রী ঢালি, সুভদ্রা মণ্ডল, বাসন্তী বাছাড় ও দীনেশ সরকার। তার ফলে বিজেপির হাতছাড়া হল গাইঘাটা ধর্মপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত।
[আরও পড়ুন: সম্পত্তির লোভে বৈবাহিক সম্পর্কের কথা গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে, গ্রেপ্তার ‘প্রতারক’ নববধূ]
ধর্মপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৬। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ৮, তৃণমূল ৬ এবং নির্দল ২টি আসনে জয়লাভ করেছিল। পরবর্তীতে একজন নির্দলের সমর্থন নিয়ে ৯-৭ এর ব্যবধানে প্রধান হয়েছিলেন বিজেপির নীলাদ্রি ঢালি। শুক্রবার ৪ জন সদস্য বনগাঁ শহরের তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন৷ তাদের হাতে দলীয় পতাকা, ফুলের স্তবক তুলে দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গোপাল শেঠ ও চেয়ারম্যান শংকর দত্ত-সহ জেলার নেতানেত্রীরা। গোপাল শেঠ বলেন, “ওরা আমাদের কাছে আবেদন করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে। সে কারণে আমরা ওদের দলে নিয়েছি।” প্রধান নীলাদ্রি ঢালি বলেন, “বিজেপির প্রধান হিসেবে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা আরও বেশি করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পরিষেবা এবার দিতে পারব৷ কোনরকম ভয় বা প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের দলে নেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সে কারণে একের পর এক পঞ্চায়েত জোর করে দখল করছে তৃণমূল।” যদিও তৃণমূল চেয়ারম্যান শংকর দত্ত বলেন, “ওনাদের কোনও ভয় ভীতি দেখানো হয়নি। বিজেপি উচ্ছৃঙ্খল দল অপ্রাসঙ্গিক। তাই ওদের সঙ্গে কেউ থাকতে পারছে না। সে কারণেই ওরা তৃণমূলে চলে এসেছেন।”