সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরছে বঙ্গ ফুটবলের গৌরব। সার্ভিসেসকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে উঠে গেল বাংলা। জোড়া গোল করলেন রবি হাঁসদা। এই নিয়ে চলতি সন্তোষ ট্রফিতে ১১টা গোল হয়ে গেল বাংলার স্ট্রাইকারের। আর সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন কিংবদন্তি মহম্মদ হাবিবকে।
১৯৬৯-৭০ সালে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। ফাইনালে হারিয়েছিল সার্ভিসেসকেই। আর সেবার টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন মহম্মদ হাবিব। ১১বার জালে বল জড়িয়েছিলেন তিনি। একটি সন্তোষ ট্রফিতে এটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে হাবিবকে ছুঁয়ে ফেললেন রবি। ৩১ ডিসেম্বর ফাইনাল। সেখানে 'বড়ে মিঞা'কে টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকছে রবির কাছে।
এবার সন্তোষ ট্রফিতে আগুনে ফর্মে রয়েছে সঞ্জয় সেনের দল। ১০ ম্যাচে ২৭টি গোল করে ফেলেছেন রবি, নরহরিরা। ফাইনালেও যে সেটাই ভরসা হয়ে উঠবে, সেকথা বলাই বাহুল্য। রবি কি পারবেন হাবিবকে টপকে যেতে? কেন পারবেন না? আশাবাদী বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক ও পরিসংখ্যানবিদ হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। হাবিবের রেকর্ডের তথ্য দেওয়ার সঙ্গে তিনি জানালেন, "আমি খুব খুশি যে রবি এরকম একটা কৃতিত্ব গড়ল। আমার বিশ্বাস, ফাইনালে গোল করে ও হাবিবকে ছাড়িয়ে যাবে। হাবিব অনেক বড় ফুটবলার। এখন ওঁর মতো কিংবদন্তির সঙ্গে রবির নামও জুড়ে গেল।"
একদিকে যেমন রবির কাছে নজির ছোঁয়ার লক্ষ্য, তেমনই বাংলার সামনে ৩৩তম সন্তোষ ট্রফি জয়ের হাতছানি। সঞ্জয় সেনের হাত ধরে ফের চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলা, স্বপ্ন দেখছে বাংলার ফুটবলভক্তরা। কোচ সঞ্জয় সেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আট-নয়ের দশক হলে বাঙালি ফুটবলারাই যে কোনও দলকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করতে পারত। সঞ্জয় সেনের কোচিং বাংলার ফুটবলের কর্তৃত্ব ফিরে এলে খুব খুশি হব।" আশায় বুক বাঁধছে বাংলার সমর্থকরাও।