সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নয়ন নয়, মেরুকরণের রাজনীতিই মুখ্য হয়ে উঠছে লোকসভা ভোটের প্রচারে। রবিবার বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) বলেন, দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। মঙ্গলবার ওই মন্তব্যকে ‘অনভিপ্রেত’ বলেছিলেন রাজস্থানে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণি। সেই ‘অপরাধে’ বুধবার তাঁকে আগামী ছয় বছরের জন্য বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)।
রবিবার বাঁশওয়াড়ায় বিজেপির সভায় মোদি দাবি করেন, অতীতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন, দেশের সম্পদে সবার আগে অধিকার মুসলিমদের। সেই কারণেই সম্পদের সমীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। এই সূত্রেই মোদির মন্তব্য, কংগ্রেসের সমীক্ষার উদ্দেশ্য হল দেশবাসীর কষ্টার্জিত অর্থ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে একটি টিভি চ্যানেলে উসমান গণি বলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ এছাড়াও চলতি ভোটে এনডিএ জোট রাজস্থানে ২০১৯ সালের মতো ২৫টি আসন পাবে না বলেও মন্তব্য করেন গণি।
[আরও পড়ুন: প্রথম দফা ভোটের পর ‘আত্মবিশ্বাসী’ অখিলেশ, নিজেই নামছেন লোকসভার লড়াইয়ে]
এর ফলেই গেরুয়া শিবিরের সংখ্যালঘু নেতার উপরে নেমে এল কঠিন শাস্তির খাড়া। ছ’বছরের জন্য তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজস্থান বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ওঙ্কার সিং লাখাওয়াত বুধবার বলেন, ‘উসমান গণি সংবাদমাধ্যমে বিজেপির ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন।'
[আরও পড়ুন: বিজেপির হাত ধরার পুরস্কার! ২৫ হাজার কোটির দুর্নীতিতে ক্লিনশিট অজিত পওয়ারের স্ত্রীকে]
উল্লেখ্য, বুধবার ফের নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুসলিম প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর কথায়, কর্নাটকে বেআইনিভাবে মুসলিমদের ওবিসি কোটার অন্তর্ভুক্ত করা হল। তার ফলে ওবিসিদের একটা বড় অংশের থেকে সংরক্ষণের সুবিধা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।