রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: এবার বিতর্কে ডুয়ার্স উৎসব। এই উৎসবে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। তার ফলে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। রাজনৈতিক বিরোধিতার জেরে তাঁদের আমন্ত্রণ জাানানো হয়নি বলেই দাবি পদ্মশিবিরের। প্রতিবাদে টিকিট কেটে ডুয়ার্স উৎসবে যান চার বিজেপি বিধায়ক। যদিও আমন্ত্রণ না করার অভিযোগে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল।
২০০৫ সালে শুরু হয় ডুয়ার্স উৎসব। চলতি বছরেও তার অন্যথা হয়নি। এবার গত ৭ জানুয়ারি থেকে আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হয়েছে ডুয়ার্স উৎসব। চলবে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই ডুয়ার্স উৎসবে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের আমন্ত্রন জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব পদ্মশিবির। মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গার দাবি, “এটা কোনও নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম, বর্ণ কিংবা রাজনৈতিক দলের মানুষের উৎসব নয়। ডুয়ার্সে বসবাসকারী সকলকে কেন্দ্র করে উৎসব শুরু হয়েছিল। তবে এখন এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। আমরা এটা মানতে পারব না।”
[আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড়ো’য় শামিল হতে CPM-সহ বাম দলগুলিকে আহ্বান কংগ্রেসের, কী বলছে তৃণমূল?]
ডুয়ার্স উৎসব আয়োজনের অছিলায় বেআইনিভাবে তৃণমূল নেতারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা তুলছেন বলেও অভিযোগ মনোজ টিগ্গার। তাঁর অভিযোগ, জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে। ডুয়ার্স উৎসব কমিটির সদস্যরা ওই টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তাঁর। আমন্ত্রণ না পাওয়ার প্রতিবাদে শনিবার সন্ধেয় টিকিট কেটে ডুয়ার্সে উৎসবে যান আলিপুরদুয়ার, মাদারিহাট, কালচিনি ও কুমারগ্রামের চার বিজেপি বিধায়ক। ক্ষোভ উগরে দেন মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, “তৃণমূল সব অনুষ্ঠানকে নিজের দলের অনুষ্ঠান বলে মনে করে। আমরা কোনওদিন সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পাইনি। ডুয়ার্স উৎসবকে পৈতৃক সম্পত্তি করার অনুমতি কেউ দেয়নি।”
যদিও বিজেপির অভিযোগ আমল দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক সৌরভ চক্রবর্তীর মতে, আলিপুরদুয়ারে অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব রয়েছে। তাঁদের ডুয়ার্স উৎসবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাই রাজনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হল কিনা, তাতে কী যায় আসে? তবে রাজনৈতিক মহলে দড়ি টানাটানি যতই হোক না কেন। ডুয়ার্স উৎসব বেশ জমে উঠেছে। ক্রমশ বাড়ছে পর্যটকের ভিড়।