চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: দুর্ঘটনার মুখে পড়ল সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) কনভয়। তাঁর কনভয়ে উলটো দিক থেকে আসা বলোরো গাড়ি ঢুকে পড়ল। মুখোমুখি দুর্ঘটনার হাত থেকে বাবুল সুপ্রিয় নিজের গাড়িটি বাঁচিয়ে নিলেও তাঁর আপ্ত সহায়কের গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। বাবুল সুপ্রিয়র আপ্ত সহায়ক ধর্মেন্দ্র কৌশল অল্পবিস্তর চোট পান। তাঁর ইনোভা গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুনম্বর জাতীয় সড়ক জামুড়িয়ার সাতগ্রামে ঘটে এই ঘটনা। বলেরো গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার নিজে গাড়ি চালিয়ে আসানসোল থেকে কলকাতা ফিরছিলেন বাবুল। গাড়িতে ছিলেন স্ত্রী, মেয়ে ও তাঁর পরিজনেরা। সাতগ্রাম ফটক আসতেই দু’নম্বর জাতীয় সড়কে উলটোদিক থেকে এক বলেরো গাড়ি ঢুকে পড়ে কনভয়ে। প্রথমে থাকা পুলিশের গাড়ি ও বাবুলের গাড়িটি কোনওক্রমে পাশ কাটিয়ে সংঘর্ষের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়। পিছনে থাকা আপ্ত সহায়কের গাড়িটি মুখোমুখি বলেরো গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। এরপর পুলিশ বলেরো গাড়ির চালককে আটক করে। জানা গিয়েছে, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পুলিশ তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে সেরকম কোনও চোট না পাওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যের উন্নয়নে বাধা কেন্দ্র’, ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণার পর প্রথম দলীয় অনুষ্ঠানে ভোলবদল জিতেন্দ্রর]
বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “খুব জোর এদিন বেঁচে গেলাম। নিজে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। তাই সামনে থেকে আসা ওই গাড়িটিকে পাশ কাটিয়ে নিয়েছিলাম। পরের গাড়িতে গিয়ে ওই গাড়ি ধাক্কা মারে। জাতীয় সড়কের উপরে গাড়ির গতি আটকাতে যেভাবে গার্ড রেল রাখা হয়, তা কত বিপজ্জনক, আজ বুঝলাম। এইভাবে রাখা উচিত নয়। অন্য কোন ব্যবস্থা করা উচিত।” অন্যদিকে, আসানসোল দুগাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল ১) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। যে গাড়িটি ধাক্কা মারে সেটি ও চালককে আটক করা হয়েছে। সে মদ্যপ ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের যে গাড়িটিকে ধাক্কা মারা হয়েছে, সেটিকেও হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”