জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এবার মতুয়া মেলা নিয়ে শুরু টানাপোড়েন। শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) অভিযোগ, নিজের স্বার্থে মেলা বন্ধ করার চেষ্টা করছেন মমতাবালা ঠাকুর। যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে মমতাবালা দাবি করেছেন, করোনার কারণেই মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতেও যদি মেলা করা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁর কিছু বলার নেই।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মেলা বন্ধ করছেন মমতাবালা ঠাকুর। বলেন, “গত দু’বছর মেলা বন্ধ ছিল। সে সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকান করার জন্য টাকা নিয়েছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল এবার। টাকা ফেরত দেবেন না বলেই তিনি এখন মেলা বন্ধের কথা বলছেন।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “মেলা হবে। এই মেলা মতুয়া ভক্তদের। কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ঠাকুরবাড়িতে আরও অনেক সদস্য রয়েছেন। মমতা ঠাকুর মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার কে?” শান্তনু ঠাকুরের কথায়, “মেলায় কাউকে আসতে বলব না। যেতেও বলব না। মতুয়া ভক্তরা মনে করলে আসবেন। না হলে আসবেন না৷ মেলা হবে। সরকারের ক্ষমতা থাকলে এসে বন্ধ করুক।”
[আরও পড়ুন: রাজারহাটে আক্রান্ত সংখ্যলঘু উন্নয়নমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা, লাঠির আঘাতে ফাটল মাথা]
শান্তনুর বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন মমতাবালা (Mamata Bala Thakur)। তিনি বলেন, “ওরা অর্থ ছাড়া কিছু বোঝে না৷ অর্থের জন্যই ওরা মেলা চাইছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে দোকানদারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল শান্তনুদের সংগঠন। করোনার কারণেই এবার মেলা বন্ধের কথা ঘোষণা করেছি। তারপরও যদি মেলা হয়, সেটা যারা করবে, তাদের দায়িত্বে৷” পাশাপাশি মমতাবালা এদিন মনে করিয়েদেন, বীণাপাণি দেবীর মৃত্যুর আগে তাঁকেই সংঘাধিপতি ঘোষণা করে ছিলেন। এদিকে ঠাকুরবাড়ির দুই পরিবারের দুই সদস্যের বক্তব্যে বিভ্রান্ত মতুয়া ভক্ত ও মেলার মাঠে দোকান করতে আসা ব্যবসায়ীরা৷ তাঁদের বক্তব্য, “আমরা দূরদূরান্ত থেকে অনেক টাকা খরচ করে এখানে এসেছি। মেলা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব। প্রয়োজনে অবরোধ করব৷”