সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সফর চলাকালীন মরুরাজ্যে দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসে। ক্ষুব্ধ হন খোদ নরেন্দ্র মোদি। এর পরই বুধবার রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের তলব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। যুযুধান দুই শিবির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াত-সহ রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বৈঠকে ডাকা হয়।
জানা গিয়েছে, বিজেপির ওই বৈঠকে সর্বোচ্চ তৎপরতায় রাজস্থান নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে মাঝরাত পর্যন্ত রাজস্থানের নেতাদের বিভিন্ন নির্দেশ দিয়েছেন মোদি-শাহরা। রাত দুটো পর্যন্ত চলেছে সেই বৈঠক। সূত্রের খবর, রাজস্থানে গোষ্ঠীকোন্দল কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ।
[আরও পড়ুন:কাপ যুদ্ধের আগে লক্ষ্মীলাভ, বাবর আজম-শাহিনদের ঝুলিতে এল কত টাকা?]
বিজেপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রের খবর, দলের গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নজর এড়ায়নি। তিনি কোন্দল মেটাতে অমিত শাহকে নির্দেশ দেন। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব স্পষ্ট করেন শাহ। জানান, রাজস্থানের (Rajasthan) ইতিহাসে কোনও দল টানা দু’বার ক্ষমতায় আসেনি। তাই এবার দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে একে অপরের মুন্ডপাত করছে, তা বন্ধ না হলে ভোটবাক্সে তার প্রভাব পড়বে। আর প্রার্থী নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। এদিন বেশ কিছু আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: ‘ও টিমম্যানই নয়’, ‘শিশুসুলভ’ তামিমকে এবার প্রকাশ্যেই তোপ শাকিবের]
জানা গিয়েছে, বিজেপি এবার রাজস্থানে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে প্রার্থী করবে। টিকিট দেওয়া হবে একাধিক সাংসদকেও। সেই তালিকায় থাকবেন খোদ গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতও। তবে ভোটের আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে না গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, এবারে দুবারের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেকে একেবারেই বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। গেরুয়া শিবিরের তরফে এখনও পর্যন্ত যে প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাতে বসুন্ধরার (Vasundhara Raje) নাম নেই। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি মোদি, শাহরা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ছেঁটে ফেলতে চাইছেন? বিজেপি অবশ্য বলছে, কাউকেই বেশি বা কম গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। দল যৌথ নেতৃত্বে ভোটে লড়বে।