সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো জ্বলন্ত ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা! ফের পরিবারতন্ত্রকে হাতিয়ার করে একযোগে বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ শানালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি (NCP), ডিএমকের মতো দলগুলিকে একসারিতে বসিয়ে বিজেপি সভাপতি দাবি করলেন, এই দলগুলির কোনও নীতি-আদর্শ নেই। এরা যেনতেনপ্রকারেণ ক্ষমতা দখল করতে চায়। আর সেটা করতে গিয়ে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার ‘পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি গণতন্ত্রের বিপদ’ শীর্ষক একটি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নাড্ডা। সেখানেই তিনি কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলিকে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন। নাড্ডার দাবি, “পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি শুধুই পরিবারের কথা ভাবে। দেশের নয়। তাই এদের সঙ্গে বিজেপির (BJP) লড়াই চলবে। কাশ্মীর-তামিলনাড়ু থেকে মহারাষ্ট্র পশ্চিমবঙ্গ সব জায়গাতেই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি সক্রিয়” নাড্ডার বক্তব্য, আজকের কংগ্রেস (Congress) ভারতীয়ও নয়, গণতান্ত্রিকও নয়। বরং এটা ভাই-বোনের দলে পরিণত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নয়া দুর্নীতির অভিযোগ, লালু ও তাঁর মেয়ের বাড়ি-সহ ১৭ জায়গায় তল্লাশি সিবিআইয়ের]
একযোগে কার্যত সব বিজেপি বিরোধী দলকে টার্গেট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ওই সেমিনারে বলেন,”সব রাজ্যেই পরিবারতান্ত্রিক দলগুলি সক্রিয় রয়েছে। কংগ্রেস যেমন ভাই-বোনের দলে পরিণত হয়েছে, তেমনি পশ্চিমবঙ্গে পিসি-ভাইপো সরকার চালাচ্ছে। কাশ্মীরে পিডিপি এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স, পাঞ্জাবে অকালি দল, হরিয়ানায় লোক দল, উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি, বিহারে আরজেডি, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম, ওড়িশায় বিজেডি, অন্ধ্রে ওয়াইএসএসআর কংগ্রেস সক্রিয় রয়েছে।” নাড্ডার দাবি এই দলগুলিই সবচেয়ে বেশি মেরুকরণের রাজনীতি করে। কখনও জাতের নামে, কখনও ধর্মের নামে।
[আরও পড়ুন: ‘আম্বানি-আদানিকে টার্গেট করা বন্ধ করুন’, কংগ্রেস ছাড়তেই পুরনো দলকে খোঁচা হার্দিকের]
নাড্ডার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন,”বিজেপির বহু নেতা তো বিয়েই করেননি। তাঁদের পরিবার হবে কী করে। আর যে নাড্ডা এসব বলছেন, তিনি তো রাজ্যসভার সাংসদ। আর যে পিসি-ভাইপোর কথা তিনি বলছেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ২৫ বছর লোকসভার সাংসদ ছিলেন। আর তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে জিতে এসেছেন। আর ভাইপো অভিষেকও দু’বারের সাংসদ। একই পরিবারের দু’জন রাজনীতি করতে পারবে না, এমন বিধি নিষেধ তো নেই।”