সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: এ যেন উলটপুরাণ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানতে রাস্তায় নামল বিজেপি। সঙ্গে ছিল তৃণমূলও। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন বিডিও শান্তিপুর। যুযুধান দুই পক্ষকে একসঙ্গে দেখে অবাক স্থানীয় বাসিন্দারাও। তবে তাঁরা মনে করছেন রাজনৈতিক রং দূরে সরিয়ে রেখে এইভাবেই কাজ করলে সবারই মঙ্গল।
ব্যাপার টা কী? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দেন রাজ্যজুড়ে রাস্তা দখল করে রাখা হকারদের সরিয়ে জায়গা দখল মুক্ত করতে হবে। সেই অনুযায়ী পথে নামে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন। নির্দেশ পালন করতে বৃহস্পতিবার শান্তিপুরের ফুলিয়ায় আরও একবার পথে নামে স্থানীয় প্রশাসন। সঙ্গে ছিল তৃণমূল ও বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: মালদহে ব্যাঙ্ক লুঠের পান্ডা আসলে বিজেপি নেতা! চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের]
শান্তিপুর বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত সমিতির অফিস এলাকায় হকারদের ফুটপাত ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন, শান্তিপুরের বিডিও সন্দীপ ঘোষ। একই অনুরোধ করেন বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নৃপেন মণ্ডল ও সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী-সহ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্য সুব্রত সরকার।
বিডিও (BDO) সন্দীপবাবু বলেন, " ফুলিয়ার বাস থেকে রেলগেট পর্যন্ত অভিযান আগে হয়েছিল। এবার পঞ্চায়েত সমিতির অফিস, বিডিও অফিসের সামনের হকারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাঁদের ফুটপাত থেকে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওঁরা সরিয়ে নেবেন বলেছেন। যাঁরা সরাবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা হকার উচ্ছেদ করছি না।ফুটপাতে না এসে ওঁদের নিজেদের দোকানের মধ্যে থেকেই ব্যবসা করতে বলা হচ্ছে।"
শান্তিপুর (Santipur) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিজেপির নৃপেন মণ্ডল বলেন, " জেলা শাসকের নির্দেশে বিডিও সাহেবের নেতৃত্বে আমরা আজ পথে নেমেছিলাম। দোকানদারদের বলেছি রাস্তা ছেড়ে ব্যবসা করতে। তারা সাড়া দিয়েছেন। তৃণমূলের সদস্য সুব্রত বিশ্বাস বলেন, " মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফুটপাত দখল মুক্ত করতে আজ আমরা পথে নেমেছিলাম। ওদের রাস্তা ছেড়ে দেবে বলেছে।"