গোবিন্দ রায়:অভিযুক্ত কী করে তদন্তকারী সংস্থার পরিবর্তন চাইতে পারে? নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদনে বিজেপি কর্মীদের আনা মামলায় সেই প্রশ্নই তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী সোমবার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি।
গত ৮ ডিসেম্বর তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভোট ছিল। এই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ভোটে হলদিয়া, সুতাহাটা, মহিষাদল, ময়না,তমলুক, চণ্ডীপুর-সহ মোট বারোটি শাখায় ৬৯টি আসনে ভোট হয়েছিল। তার মধ্যে ৫৬টি আসনে জয়ী হয়ে তৃণমূল নিরঙ্কুশভাবে বোর্ড গঠন করে। শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম এক এবং দুই নম্বর ব্লকে বিজেপি ১৩টি আসনে জয়ী হয়। ওই রাতেই খুন হন তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল। অভিযোগ, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ৭ নম্বর জলপাই গ্রামে বিজেপি কর্মীদের সশস্ত্র বাহিনী চড়াও হয় তাঁর বাড়িতে। ভোজালি দিতে তৃণমূল কর্মীকে কোপানো হয় বলেই অভিযোগ। বেধড়ক মারধর করা হয় তৃণমূল কর্মীর দাদা গুরুপদ মণ্ডলকেও।
এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত অভিজিৎ মাইতি-সহ মোট ২৬ জন কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। একই ঘটনায় কীভাবে দুটি FIR দায়ের হল, তা আইন বিরুদ্ধ বলেই দাবি করেন অভিযুক্ত অভিজিৎ মাইতির আইনজীবী। তাঁর আরও দাবি, প্রথম অভিযোগপত্রে মাত্র ৪ জনের নাম ছিল। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে এই ঘটনায় রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে বলেই অভিযোগ। সে কারণে আরও অন্তত ২৬ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে বলেই দাবি আইনজীবীর। আর সে কারণেই পুলিশে আস্থা নেই বিজেপির। সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে গেরুয়া শিবির।