রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দণ্ডি বিতর্কে ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং জাতীয় এসটি কমিশনকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন তিনি। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমে প্রতিবাদ বিজেপির। হুগলির চুঁচুড়ায় মিছিলে পা মিলিয়েছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। থানায় ডেপুটেশনও জমা দেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তপন বিধানসভা জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগরে কয়েকজন মহিলা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের ছিলেন বলে দাবি করে বিজেপির। সেই ঘটনার চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই তপনের জেডপি-১২ মণ্ডলের গোফানগর থেকে শুক্রবার বালুরঘাট শহরে আসেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা। তাঁরা বেশ কিছুটা রাস্তা দণ্ডি কেটে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসেন। সেখানে জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর হাত থেকে ফের তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন। দণ্ডি কাটার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে।
[আরও পড়ুন: রিঙ্কুর স্বপ্নের ইনিংসে বিভোর আরিয়ান-সুহানা, কেক-শ্যাম্পেনে হল নাইটদের সেলিব্রেশন]
সুকান্ত মজুমদার চিঠিতে লেখেন, “তৃণমূল জমানায় মধ্যযুগীয় স্বৈরতন্ত্রের নজির। গত ৬ এপ্রিল দলবদলকারী কয়েকজনকে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় দণ্ডি কাটানো হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা জোর করে কয়েকজনকে দলবদল করিয়েছে। দলবদলের পদ্ধতি গণতান্ত্রিক নিয়মে হলে কোনও আপত্তি নেই। তৃণমূলের জমানায় আদিবাসীর উপর আগেও অচ্যাচার হয়েছে। এই অত্যাচার বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।” অত্যাচার বন্ধে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন সুকান্ত। এদিকে, সম্প্রতি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মহিলাদের পোশাক নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেন কৈলাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি পাঠালেন না সুকান্ত, সে প্রশ্ন করেন তিনি।