সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের মরশুমে মধ্যপ্রদেশে যেন রীতিমতো উলটপূরাণ চলছে। কংগ্রেসের ইস্তেহারে যেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল হিন্দুত্ব এজেন্ডার ছাপ, সেখানে বিজেপির প্রকাশপত্রে পুরোদস্তুর ভরসা রাখা হল উন্নয়নে। নারী উন্নয়ন থেকে সুশাসন, প্রাধান্য পেল বিকাশই। শনিবার ভোপালে মধ্যপ্রদেশ নির্বাচনের জন্য বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
[এবার ‘রামরাজ্য’-এর দাবিতে সরব আরএসএস প্রধান]
ভোট ঘোষণার আগে থেকেই মধ্যপ্রদেশে নরম হিন্দুত্বের বুলি আওড়ানো শুরু করেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কমলনাথ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় গো-শালা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রামচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত ‘রামপথ’ তৈরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে কংগ্রেস। অনেকে মনে করছিলেন, কংগ্রেসের এই নরম হিন্দুত্বের পালটা বিজেপি দেবে উগ্র হিন্দুত্ব দিয়ে। কিন্তু সেপথে পা বাড়াল না গেরুয়া শিবির। বরং, তাঁরা ভরসা রাখল ‘বিকাশ’-এ । দেওয়া হল একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি। ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যে ১০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে, উচ্চমাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেলেই মেয়েদের দেওয়া হবে স্কুটি। নর্মদা এবং চম্বা নদীর ধার দিয়ে তৈরি হবে এক্সপ্রেসওয়ে। জব্বলপুর এবং গোয়ালিয়রে ‘মিনি স্মার্ট সিটি’ তৈরি করা হবে, কৃষকদের আয় আরও বাড়ানো হবে, এমন হাজারো প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিলেন শিবরাজ সিং চৌহান।
[ত্রিপুরায় আক্রান্ত মানিক সরকারের কনভয়, গেরুয়া সন্ত্রাসের অভিযোগ]
এদিন ইস্তেহার প্রকাশের মঞ্চে অরুণ জেটলি বলেন, “মধ্যপ্রদেশে রাজনীতি এবং প্রশাসনের অর্থই বদলে দিয়েছে বিজেপি। এখন জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই মধ্যপ্রদেশ সরকারের একমাত্র লক্ষ্য। ২০০৩ সালে রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছে কংগ্রেস। সেসময় রাজ্যের হাল কী ছিল মনে করে দেখুন, শহরাঞ্চলেও জল, বিদ্যুৎ এমনকি ভাল রাস্তা পর্যন্ত ছিল না। এখন সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে।” উল্লেখ্য আগামী ২৮ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশের ২৩০টি বিধানসভা আসনের জন্য ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ আগামী ১১ ডিসেম্বর।
The post মন্দির নয়, বিকাশেই ভরসা! মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ইস্তেহারে একাধিক চমক appeared first on Sangbad Pratidin.