সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: ছত্রধর মাহাতোকে (Chatradhar Mahato) নিয়ে আগে বারবার সুর চড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে অবস্থান বদল। এবার ছত্রধর মাহাতোকে রাজ্য সরকার কার্যত ‘বোকা’ বানিয়েছেন বলেই দাবি বিজেপি নেতার।
দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন “ছত্রধর মাহাতো আমাদের ঝাড়গ্রামের ছেলে। তিনি হাতিয়ার ধরেছিলেন। দিদিমণি তাঁর মোটর সাইকেলে চেপে ভোট নিয়ে জিতে গেলেন। তারপর কেস দিয়ে ঢুকিয়ে দিল। আট বছর ধরে জেলের ভাত খাচ্ছিল। আদিবাসী, মাহাতদের বোকা ভেবেছে। আজ ভোট আসছে বলে জেল থেকে বার করে আনা হল। তাঁকে আবার পদ দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে চাকরি। এসব বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।” সোমবার গোপীবল্লভপুরে জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই ছত্রধর মাহাতোর পাশে দাঁড়িয়ে একথা বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে কোচবিহারে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন, আটক ৩]
গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের বাহারুনাতে একটি কর্মসূচিতেও যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর উপস্থিতিতে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক সমর্থক বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ-সহ আরও অনেকে। এদিন বাহারুনাতে যোগদানের কর্মসূচির পরে তিনি তাঁর বাড়ি কুলিয়ানা গ্রামে গিয়েছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের কলেজ রোডের মাঠে ‘আমরা কজন’ পুজো কমটির আহ্বানে মণ্ডপেও যান। প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। সেখানেও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, “অটল বিহারীর আমলে গ্রাম সড়ক যোজনায় রাস্তা হয়েছে। বেশিরভাগ গ্রামের রাস্তা লাল রাস্তাই রয়ে গিয়েছে। চল্লিশ বছরে কোন পরিবর্তন হয়নি। এখানে কোন চাকরি নেই। এখানে টাকা লুট হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা নির্বাচনে দেখিয়ে দিয়েছি, বিধানসভায় পরিবর্তন হলে জঙ্গলমহল থেকে উন্নয়ন শুরু করব।” বাংলা, ভারতের উপর বিশ্বাস নেই বলে বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসেছে বলেও তোপ দাগেন তিনি।