রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সামনের মাসেই রাজ্যে দলের সংগঠন চাঙ্গা করতে আসছেন বিজেপির একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর তার আগেই প্রশ্ন উঠে গেল, বঙ্গ বিজেপিতে নিচুতলাতে যখন সংগঠনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে গিয়েছে। তখন ক্ষত কতটা মেরামত করা যাবে? উত্তর নিয়ে সংশয় গেরুয়া শিবিরেই। কারণ, যে রাজ্য ও জেলা নেতাদের লোকসভার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সোমবার ডাকা হয়, তাঁদের অনেকেই এলেন না। ফলে যাঁদের নিয়ে লড়াই করবে নিচুতলায় সেখানেও কোন্দল।
সোমবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে এ রাজ্যে হারা ও দুর্বল লোকসভা আসনগুলির পর্যবেক্ষক ও আহ্বায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা তথা দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র। লোকসভা আসনে এ রাজ্য থেকে ১৮ টা আসন পেয়েছিল বিজেপি। এ যাবৎকালে এই ফলটাই গেরুয়া শিবিরের সেরা ফলাফল। এখন অবশ্য উপনির্বাচনে আসানসোল হাতছাড়া হওয়ায় বঙ্গে বিজেপির আসন ১৭টি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দলের সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা, বিদ্রোহ, কোন্দল সামাল দিতে নাজেহাল কেন্দ্রীয় নেতারা। সেইজন্যই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রচার ও জনসংযোগ বাড়াতে রাজ্যে আসছেন স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারমণ, এস. জয়শংকর, কিরেণ রিজেজু, নরেন্দ্র সিং তোমর , অর্জুন মুণ্ডা ও ধর্মেন্দ্র প্রধানদের মতো বিজেপির হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা। লোকসভা ভাগ করে থাকবেন তাঁরা। তবে শুধু বাংলায় নয় সারা দেশেই এই সাংগঠনিক কাজ করবে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্ল্যাকার্ড হাতে হাজির TET চাকরিপ্রার্থীরা, ডেকে কথা বললেন মমতা, দিলেন আশ্বাসও]
জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে ১৯ টি রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ১৪০ টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের প্রথম ধাপের ‘প্রবাস’ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হবে এ রাজ্যে। প্রথম ধাপে আসার সম্ভাবনা স্মৃতি ইরানি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, কিরেণ রিজিজুর।
এদিকে, এ রাজ্যে লোকসভা কেন্দ্রগুলির দলের আহ্বায়ক ও পর্যবেক্ষক কাদের করা হয়েছে তা এদিনের বৈঠকের আগে অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি। এদিন বৈঠকে আসার জন্য ফোনে তাদের ডাকা হয়। দলের একাংশের বক্তব্য, কোন্দলের ভয়েই অফিসিয়ালি আহবায়ক ও ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করা হয়নি লোকসভা ও বিধানসভার। এদিন, দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয় দলের ডিপার্টমেন্ট ও সেলগুলিকে নিয়ে। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ, প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করা যাবে না। দলের লাইন মেনে কথা বলতে হবে নেতাদের।