বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ফের বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে দিল্লিতে তলব করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পুজোতে দলের ভূমিকা কী হবে, জনসংযোগ বাড়াতে নেতৃত্বের কৌশল কী হবে, সেসব নিয়ে আলোচনা করতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে তলব করেছেন জে পি নাড্ডা। সুকান্তর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রের খবর।
দলের হেভিওয়েট মন্ত্রী বা নেতারা পুজো (Durga Puja 2023) চলাকালীন কলকাতা বা জেলায় গেলে কোথায় যাবেন তা নিয়েও কথা হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে দলের সংগঠনের অবস্থা নিয়েও রাজ্য সভাপতিকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) দিল্লিতে তলব করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। পুজোর সময় অমিত শাহ (Amit Shah) বা জে পি নাড্ডারা (JP Nadda) রাজ্যে যেতে পারেন।
[আরও পড়ুন: একধাক্কায় ৫৭ শতাংশ সম্পত্তি কমল আদানির! দেশের সবচেয়ে ধনীর তকমা আম্বানির]
বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক হাল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তোষ প্রকাশ করছেন শাহ, নাড্ডা বা বি এল সন্তোষরা। যে কোনও মূহূর্তে সংগঠনে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তার আগে অবশ্য জনসংযোগ বাড়াতে পুজোকে ব্যবহার করতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন নাড্ডা। সেই মতো পুজো দখলে বঙ্গ নেতারা ঝাঁপালেও ও দাগ কাটার মতো কিছু করে উঠতে পারেনি। বিষয়টি নজর এড়ায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। লোকসভা নির্বাচনের আগে শেষ পুজোও হাতছাড়া হওয়ায় অসন্তুষ্ট শাহ, নাড্ডারা। তাই পুজোর মতো জনসংযোগের মাধ্যম হাতছাড়া হওয়ায় তড়িঘড়ি রাজ্য সভাপতিকে মঙ্গলবার দিল্লিতে তলব করা হয়।
[আরও পড়ুন: চলতি মাসেই ভোটার তালিকা সংশোধন, কবে, কীভাবে নাম তুলবেন? সংশোধনের উপায় কী?]
এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) তাঁর দিল্লি আসা নিয়ে কোনও কথা না বলেননি। জানা গিয়েছে, কেন মানুষের মনে দাগ কাটার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে রাজ্য নেতৃত্ব ব্যর্থ হল, তা জানতে চাইবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পাশাপাশি, রাজ্য সংগঠনে রদবদল নিয়ে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা নিয়েও কথা বলবেন। ভোটের আগে সংগঠনের রাশ আদৌ রাজ্যের হাতে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে চর্চা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় নেতারা।