বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভবানীপুর উপনির্বাচন, মুর্শিদাবাদের ২ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল জয়। বাকি চার আসনের উপনির্বাচনে (By-elections) তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণা। জোড়া ঘটনার পর নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপিতে বড় ভাঙন। রবিবারই ইস্তফা দিলেন শান্তিপুর (Santipur) শহর বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কর। ইস্তফার কারণ হিসেবে তিনি দলের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের কর্মীদের প্রতি অবহেলা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি ছাড়তে পারে।
ইস্তফাপত্রে বিপ্লব কর উল্লেখ করেছেন, সাংসদ জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar) জনপ্রতিনিধি হয়েও তিনি মানুষের জন্য ঠিকমতো কাজ করছেন না। তা নিয়ে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। বিজেপি টাউন সভাপতির ইস্তফাপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ”বিপ্লব করের ইস্তফাপত্র এখনও গৃহীত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে।”
[আরও পড়ুন: WB By-Election: বঙ্গে বিপর্যয় অব্যাহত বিজেপির, ৩ কেন্দ্রের ভোটে হেরে আরও কোণঠাসা গেরুয়া শিবির]
রবিবার শান্তিপুর (Santipur) বিধানসভা কেন্দ্রের ভূমিপুত্র ব্রজকিশোর গোস্বামীকে আসন্ন উপনির্বাচনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই প্রার্থীকে নিয়ে জোরদার প্রচারও শুরু করে দিয়েছে দল। অথচ গতবারের জেতা আসন বিজেপি আদৌ ধরে রাখতে পারবে কী না, তা নিয়ে জল্পনার মুখেই রবিবারেই নিজের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শান্তিপুর টাউন বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কর। তিনি নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার অশোক চক্রবর্তীর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কারণ হিসাবে তাঁর বক্তব্য, ”সাংসদ জগন্নাথ সরকার দলীয় কর্মীদের সম্মান দেন না। তিন বছর ধরে সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও শান্তিপুরের জন্য তিনি কোনও কাজ করেননি। এমনকী বিধায়ক হয়েও শান্তিপুরের মানুষের কথা না ভেবে তিনি নিজের ইচ্ছামত পদত্যাগ করেছেন। এমন মানুষ যে দলে রয়েছেন,সেই দলে আমার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়।”
[আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election 2021: ‘কোনও ওয়ার্ডে হারিনি’, রেকর্ড ভোটে জিতে প্রতিক্রিয়া মমতার]
যদিও আগামী দিনে তৃণমূলে (TMC) তিনি যোগ দেবেন কী না, সে বিষয়ে বিপ্লব করের বক্তব্য, ”সেটা সময়ই জানান দেবে।” এ বিষয়ে জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ”বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। সেই দলে শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়েই চলতে হয়। কেউ যদি মনে করেন,সারা জীবন সভাপতির পদেই থেকে যাবেন,সেটা বিজেপিতে সম্ভব নয়। কারণ, আমাদের দলের রাজ্য সভাপতির পদেও কেউ পাঁচ বছর থাকতে পারেন না।”