সুবীর দাস, কল্যাণী: ছেলে সক্রিয় বিজেপি কর্মী। তাঁর উপর দুষ্কৃতী হামলা। ধারাল অস্ত্রের কোপে বাদ গেল আঙুল। কাটা আঙুল আঁচলে জড়িয়ে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মা। ছেলের কাটা আঙুল জুড়ে দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
বছর পঁয়ত্রিশের মিহির বিশ্বাস, নদিয়ার কল্যাণীর চাঁদমারির বাসিন্দা। একটি সেলুনের মালিক তিনি। সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেন। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালেও সেলুন খোলেন মিহির। অভিযোগ, হঠাৎই পিছন থেকে এসে আরমান তাঁকে হাঁসুয়ার কোপ দেয়। ঘুরে দাঁড়ান মিহির। তাঁর হাত এবং ঘাড়ে কোপ দেয় অভিযুক্ত। মিহিরের একটি আঙুল কেটে নিচে পড়ে যায়। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা আততায়ীকে ধরে ফেলে। চলে বেধড়ক মারধর। আরমানকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হয় তাঁর ভাইও। তবে কী কারণে খুনের চেষ্টা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কল্যাণী থানার পুলিশ। মিহিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘কেন বেশি আদরযত্ন পাবে?’, রাগে ৩ বছরের ননদকে দুধে বিষ মিশিয়ে ‘খুন’ বউদির]
আহত বিজেপি কর্মীকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, রাজ্য মহিলা মোর্চার সভাপতি ফাল্গুনী পাত্র এবং যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। বলেন, “পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোকে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারছে না তারা। করের টাকায় পুলিশকে বেতন দিয়ে বাড়ির পুজোর কাজ করাচ্ছেন মমতা। এসব কারণেই দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত। আর ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের হলে তো কোনও কথাই নেই।”
শনিবার জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ আরও অনেকে। জখম বিজেপি কর্মীর পরিবারের হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
এদিকে, বিজেপি কর্মীকে খুনের চেষ্টার প্রতিবাদে হুগলির চুঁচুড়ায় জিটি রোড অবরোধ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি গেরুয়া শিবিরের।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর নগ্ন ছবি স্বামীকে পাঠিয়ে টাকা আদায়ের ছক! ফিল্মি কায়দায় যুবককে ধরল পুলিশ]
দেখুন ভিডিও: