রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভোট পরবর্তী হিংসাকে (Post Poll Vilonece) কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুর। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ব্যাপক বোমাবাজিও করা হয়েছে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা তরুন জানা।
ভোট পর্ব মেটার পরও বারবার রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হয়েছে রাজ্য (West Bengal)। অভিযোগ, বুধবার থেকেই ভগবানপুরের তৃণমূল (TMC) কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছিল বিজেপি (BJP) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। রবিবার সেই অশান্তি বিশাল আকার নেয়। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বিজেপি। কম পক্ষে ১৫০ টি বোমা পড়ে ওই এলাকায়। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মারধরও করা হয়। রেহাই পাননি মহিলারাও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা, জেলা পরিষদের কো মেন্ট হাবিবুর রহমান -সহ অন্যন্যরা। আক্রান্তদের বাড়িতে যান তাঁরা, খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
[আরও পড়ুন: ‘কেন তিনগুণ দামে যুদ্ধবিমান কেনা হল জানি না’, রাফালে ইস্যুতে ফের মোদিকে খোঁচা সুখেন্দুশেখরের]
তরুণ জানা বলেন, “ভোটের পর থেকেই বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। কমপক্ষে ৯৫টি বাড়ি ভাঙা হয়েছে। এই অন্যায় কোনওভাবেই মানা হবে না। ইতিমধ্যেই পুলিশ ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। আগামিকাল মানবাধিকার কমিশনের অফিসের বাইরে ধরনা দেব।” যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি । তাঁর পালটা অভিযোগ, তৃণমূল এলাকায় অশান্তি চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হচ্ছে না।