শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: রাতদুপুরে খুন হলেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি (BJP) যুব মোর্চা সভাপতি। রবিবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ইটাহারে খুন হওয়া ওই ব্যক্তি উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সহ সভাপতি। কে বা কারা তাঁকে খুন করল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। যদিও মৃতের পরিবারের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরে ৮ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির যুব মোর্চার উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলা সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষকে গুলি করে খুন করল একদল দুষ্কৃতী। ইটাহারের (Itahar) দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের রাজগ্রাম এলাকার বাড়ির সামনে তিন দুষ্কৃতী ওই যুব নেতাকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়ির সামনে লুটিয়ে পড়ে ছিল ওই নেতা। শেষপর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজনেরা উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় মহিলা আইনজীবীকে রাস্তায় ফেলে মার! উত্তপ্ত বালুরঘাট]
মৃতের বাবা সন্টু ঘোষের অভিযোগ, ”তৃণমূলের তিন দুষ্কৃতী বাড়ি থেকে ছেলেকে ডেকে নিয়ে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করে ছেলেকে। তিনজনকে চিনতে পেরেছি।” বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “দলের যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি রাজ্য কমিটির সদস্যকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করল। কিন্তু বিজেপি করার জন্য এত বড় খুনের দোষীদের শাস্তির জন্য সোমবার থেকে রাস্তা নেমে আন্দোলন শুরু হবে।”
[আরও পড়ুন: কন্যাসন্তানকে চলন্ত বাসে ফেলে রেখে নেমে গেলেন মদ্যপ বাবা! ঘাটালের ঘটনায় শোরগোল]
মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সহ একাধিক পুলিশকর্তা ঘটনাস্থলে হাজির হন। পাশাপাশি রাতে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী হাজির হয়েছে। সূত্রের খবর, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সন্তোষ মাহাতো নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার (SP) সানা আখতার কোনও মন্তব্য করতে রাজি করতে রাজি হননি।